এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কমিশন কি রক্তাক্ত নির্বাচনের দিন চাইছে? সমস্বরে প্রশ্ন বিরোধীদের

কমিশন কি রক্তাক্ত নির্বাচনের দিন চাইছে? সমস্বরে প্রশ্ন বিরোধীদের


রাজ্য নির্বাচন কমিশন এদিন ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করলে বিরোধী শিবির আবার অশান্ত হয়ে উঠল।গোটা রাজ্যে একদফায় ভোট হলে ‘ রক্তাক্ত নির্বাচন’ হবে,এমটাই চিন্তায় আশঙ্কিত তারা।বাম,বিজেপি,কংগ্রেস বা এসইউসি,পিডিএস সব বিরোধীরা সর্ব হয়েছেন এই নিয়েই। কেননা প্রসহ্য উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে।
প্রথমত,হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিলো যে ভোটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বন্দোবস্ত সব পক্ষের সঙ্গে ‘অর্থপূর্ণ’ আলোচনার পরই রাজ্যনির্বাচন কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।কিন্তু এদিন তা হল না।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজ্যসরকারের কাছে একপ্রকার নতজানু হয়ে একতরফা ভাবে ভোটের দিন ঘোষণা হল।অবহেলিত হল বিরোধীদের মতামত।দ্বিতীয়ত,রাজ্যের কাছে যা পুলিশ আছে তাতে করে একদিনে ৫৮ হাজারেরও বেশি বুথে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভবই না।এদিন এক দফায় ভোট করার প্রস্তাব ফ্যাক্স করে কমিশনকে পাঠিয়ে দেয় রাজ্যসরকার।তার পরেই আলোচনায় বসে কমিশন রাজ্য সরকারের কথা মেনে নিয়ে ঘোষণা করে আগামী ১৪ ই মে হবে ভোট এবং পুর্ননির্বাচন হবে ১৬ ই মে।গণনা হবে ১৭ ই মে।রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই ১ দিনে ভোট করার পক্ষপাতী কিন্তু কমিশনের রাজি না হবার কারণ ছিল নিরাপত্তা।কেননা পঞ্চায়েতে বুথ সংখ্যা হলো ৫৮,৪৬৭ ,আর পুলিশ হলো ৫৮,০০০। যার মধ্যে সশস্ত্র পুলিশ মাত্র ৪৬ হাজার।আর লাঠিধারী পুলিশ ১২ হাজার মাত্র।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ”কমিশনে শুক্রবার সব দলের বৈঠক আছে। কমিশন কী আশ্বাস দেয়, দেখা যাক। সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস না মিললে নিশ্চয়ই আদালতে যাব।” “নির্বাচন কমিশন আমাদের জানাক যে তারা নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করছে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তার জন্য প্রতি বুথে কতজন পুলিশ দিচ্ছে ? তারপর সিদ্ধান্ত নেব আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। আগামীদিনে কমিশন কী বলবে তার উপর লক্ষ্য রাখছি। আমি আগেই বলেছি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সব খোলা আছে।”রাজ্যের তরফে একদফায় পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পর দলের রাজ্য দপ্তরে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা প্রতাপ ব্যানার্জি।বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর এ ব্যাপারে বলেছেন, ”মনোনয়ন এবং প্রার্থী-পদ তোলানোর জন্য যা হচ্ছে, তার পরে এক দিনে ভোট করতে গেলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে! এই ভাবে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অসম্ভব। কমিশন কি রক্তাক্ত নির্বাচনের দিন চাইছে?”পাশাপাশি সিপিআইএম নেতা মোহাম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে আজকে গণতন্ত্রের যে চিতা সাজানো হচ্ছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই হচ্ছে। আর আমরা এই রাজ্যকে এভাবে মরতে দিতে পারি না। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি। তখন অনেকেই বলেছিল যে এসব করে কী হবে ? মানুষের হাতে অধিকার তুলে দেওয়া হয়েছিল। আর আজ সেই ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ওই ব্যবস্থা মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে।” এদিন দিল্লীতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও অভিযোগে জানান যে,নির্বাচন কমিশন নাকি ‘ নবান্নের ধামাধরা গোলাম! কেউ তাঁর কথা শোনে না,তিনিও কারোর কথা শোনেন না। প্রচারের জন্য ন্যূনতম ২১ দিন সময়ও দেওয়া হল না সেখানে একদিনে ৫৮ হাজার বুথে কীভাবে সশস্ত্র পুলিশের সুরক্ষা দেবে শাসকদল, তা নিয় সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী নাকি গোলাবারুদ দিয়েই সকলকে নামিয়ে দেবেন,এমনটাই বললেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!