এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলকে মারছেন, গাড়ি পোড়ানোর ও হারানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতাই! বিস্ফোরক অভিযোগ আরেক তৃণমূল নেতার!

তৃণমূলকে মারছেন, গাড়ি পোড়ানোর ও হারানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতাই! বিস্ফোরক অভিযোগ আরেক তৃণমূল নেতার!

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের একযোগে সংযতভাবে কাজ করার যখন নির্দেশ দিচ্ছেন খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই শাসক দলের নেতা বনাম নেতায় শুরু হয়েছে ধুন্ধুমার কান্ড। এবার আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে প্রচারে আসা কিষান ক্ষেতমজুর সংগঠনের তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্নার সভাতেই সেই তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসল।

সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাগৃহে বুধবার 19 শে জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ এর সমর্থনে একটি সভা করতে আসেন বেচারাম মান্না। আর সেই সভাকে সার্থক করতে আলিপুরদুয়ার এসসিএসটি সেলের তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাসের ডাকে সাড়া দিয়ে বেশ কিছু কর্মী সমর্থক সেখানে হাজির হন। আর এই সভা ঠিকমতো হয়ে গেলেও সেই সভার শেষেই বাঁধে তুমুল গন্ডগোল।

অভিযোগ, সভা শেষ হয়ে যাওয়ার পরই এক যুবক তৃণমূল সমর্থকদের গাড়িতে ভাঙচুর এবং হাওয়া ছাড়তে থাকে। আর তা নজরে আসার পরই সেই তৃণমূল সমর্থকরা যুব তৃনমূলের জেলা সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্রকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি এই মারধরের ঘটনায় দুপক্ষের তরফে স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কৃষ্ণ দাসের ডাকে সাড়া দিয়ে যখন বেচারাম মান্নার এই ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় প্রচুর লোকের জমায়েত হয়েছে তখন তা ভেস্তে দিতে কেউ বা কারা কেন সেখানে এই গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করল তা নিয়ে সেই কৃষ্ণ দাসের পাশেই দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, ব্লক সভাপতি থেকে অনেক পঞ্চায়েত প্রধানরা।

এদিন এই গন্ডগোলের ঘটনায় আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণদাস সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, “কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের উনি হারিয়েছেন। আর এদিন নেশা করে এক যুবককে দিয়ে মিটিংয়ে আসা দলের কর্মীদের গাড়ির হাওয়া ছেড়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে গোলমালে মদত দিয়েছেন।”

অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নিয়েছেন সেই সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে সেদিন আমি কলকাতায় ছিলাম। তাই গোলমালে মদত দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।” এদিকে জেলায় এই প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল ঘিরে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন “দলে কোনো দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না।” সব মিলিয়ে এবার আগামী 19 শে জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে এসসি,এসটি সেলের সমাবেশে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের তুমুল দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!