তাড়া করছে তৃণমূল কর্মীরা, ভয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার রাজ্য April 16, 2018 নজিরবিহীন এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার অন্তর্গত মাধোপুরা গ্রাম।অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে নাকি শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশ আধিকারিক। প্রাণনাশের ভয়ে গোয়ালপোখর থানার সাব ইন্সপেক্টর সমরেন্দ্রনাথ সাহা একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে সদর দরজা বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু এতেও কোনো সুরাহা হয়নি। উত্তেজিত এলাকার তৃণমূল কর্মীরা ওই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়লে সমরেন্দ্রবাবুকে ঐ স্থান ছেড়ে আবারও পালিয়ে যেতে হয়। অবশেষে তাঁকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক্স-রে বিভাগের একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকতে হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এরপরে খবর জানাজানি হলে তাঁকে উদ্ধার করতে ইসলামপুর থেকে বিরাট পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। উল্লেখ্য এদিন দুপুরে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার গতি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধোপুরা গ্রামে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে খুন হন তৃনমূল বুথ সভাপতি ফাজিল হক। এছাড়াও গুলিতে আর এক ব্যাক্তি আহত হন। স্থানীয় মানুষদের থেকে জানা যাচ্ছে নিহত ফাজিল হকের বাড়িতে এদিন দুষ্কৃতিরা ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। যার ফলে নিহত হন তৃনমূল বুথ সভাপতি ফাজিল হক। এরপরে ফাজিল হককে স্থানীয় লোধন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে আসা হয়। সেখানে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ সাহা এসে উপস্থিত হলে ক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করে। এই উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের থেকে বাঁচতেই সমরেন্দ্রবাবু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢুকে সদর দরজা বন্ধ করে দেন।পরে ওই তৃণমূল সমর্থকরা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়লে ওই পুলিশ আধিকারিক পালাতে শুরু করেন। আর এরই মাঝের সময়ে ঐ পুলিশ কর্মী ঐ দলীয় কর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ করেছেন।কে বা করা ওই তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ ঘটনার তদন্ত চলছে। আপনার মতামত জানান -