এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অনুব্রতর গড়ে বিস্ফোরক ঘটনা জনগণ পোস্টে বাঁধল তৃণমূল নেতাকে

অনুব্রতর গড়ে বিস্ফোরক ঘটনা জনগণ পোস্টে বাঁধল তৃণমূল নেতাকে


তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের জেলা এক নজরকারা ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো-জনগণ পোস্টে বাঁধল তৃণমূল নেতাকে। পাড়ুই থানার ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওমরপুর গ্রামে বন্দুক হাতে বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে “বিরোধী পার্টি করা যাবেনা , তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি করতে হবে” এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঐ গ্রামের অধিবাসীরা অভিযোগের সুরে জানালেন, ” এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের জবা মুর্মু।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তাঁর স্বামী নকুল কিস্কু বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ব্ন্দুক সহযোগে দলবল নিয়ে শাসানো শুরু করে। বলে- ‘গ্রামে থাকতে গেলে তৃণমূল করতে হবে, বিজেপি করা যাবে না। বিজেপির কোনও মিটিং মিচিলে যাওয়া যাবে না। ” এছাড়াও ঐ গ্রামের মানুষেরা সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ক’দিন আগে এই গ্রামের কয়েকজন ১৪ কিমি পথ উজিয়ে সিউড়ি প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিজেপির আইন অমান্যতে যোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পারার পরই নকুল তাঁদের বাড়তে গিয়ে বন্দুক হাতে হুমকি দিয়ে আসেন। এরপরে এই ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রামের মাঠের পোস্টে ১ ঘন্টা বেঁধে রাখলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, ”তেমন কোনও ঘটনা নয়। নিজেদের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিল। আমরা সেটা মিটিয়ে ফেলেছি।” এদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক কালোসানা মণ্ডল বললেন, ”বদলা নয়, বদল চাই বলে মসনদে বসার পর সন্ত্রাসের নিরিখে বামেদেরও ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ওরা বুঝতে পারছে- মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। তাই বন্দুক হাতে নিয়ে শাসানি দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধের চেষ্টা করছে। তবে এঘটনা থেকেই স্পষ্ট গ্রামাঞ্চলে শাসকের বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। তাই মানুষ পাল্টা প্রতিরোধ, প্রতিবাদ গড়ছে।” এত কিছুর পরেও শাসক দলের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!