স্থানীয় জঙ্গিরা ভূমিপুত্র, তাদের রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দরকার – প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবিতে তীব্র শোরগোল জাতীয় January 20, 2019 ফের রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় জঙ্গিদের কাশ্মীরের ভূমিপুত্র বলে দাবী করে বললেন,জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বন্দুকরাজ’-এর ইতি টানতে হলে জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনটাই বক্তব্যে জানালেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। তাঁর এই কথা বলার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে। এবং ফের নয়া বিতর্ককে উস্কে দিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জঙ্গী সমস্যায় ভুক্তভোগী জম্মু কাশ্মীর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেনা এবং জঙ্গির সংঘর্ষে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে উপত্যকায়। জঙ্গি দমনে কেন্দ্র একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিলেও লাভের লাভ হচ্ছে না কিছুই। বরং পরিস্থিতি আরো বিগড়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষিত কী করা উচিত তা নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে পরামর্শ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনন্তনাগের দলীয় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানেই অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন,‘এই মুহূর্তে পাকিস্তান এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। পাশাপাশি, কথা বলতে হবে জঙ্গি নেতাদের সঙ্গেও। কারণ যাদের হাতে বন্দুক রয়েছে, তারাই এই বন্দুকরাজ খতম করতে পারে।’ তিনি আরো জানান,অবিলম্বে কেন্দ্র সরকারের হুরিয়ত কনফারেন্স এবং জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রয়োজন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মুফতির মতে,হিংসার বিরুদ্ধে হিংসা প্রদর্শন কখনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তাই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই স্থানীয় জঙ্গিদের হিংসার পথ থেকে সরিয়ে আনাই যথাযথ পন্থা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জঙ্গিদের ‘কাশ্মীরের ভূমিপুত্র’ বলেও দাবী করলেন। বললেন,এসব জঙ্গীরাও দেশের সম্পদ। তাঁদের রক্ষা করার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করা উচিৎ নয়। যদি সেনা-জঙ্গি মুখোমুখি হয় তাহলে কেউ কিছু করতে পারবে না বলেই দাবী করলেন তিনি। অন্যদিকে,২০১৬ সালের জেএনইউয়ের দেশদ্রোহিতার মামলার চার্জশিট এতোদিন পরে লোকসভা ভোটের মুখেই কেন জমা দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান,এই মামলায় সাতজন কাশ্মীরি পড়ুয়ার নাম রয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই স্বতপ্রণোদিতভাবে এটা করা হয়েছে বলেই মোদীসরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন পিডিপি সুপ্রিমো। শুধু প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াকেও অভিযোগের হাতিয়ার বানান তিনি। দফায় দফায় একের পর এক ট্যুইট করে বলেন,ঠিক লোকসভা ভোটের আগেই প্রতিবারের মতো এবারও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে কাশ্মীরিদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যে সময় কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হল,তা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলেই মনে করছেন তিনি। এর আগে ইউপিএ জামানায় আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কাশ্মীর সরকার। কংগ্রেস গিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি এলেও জম্মু কাশ্মীর সেই সেই মূল্য একইভাবে চুকিয়ে যাচ্ছে আর কেন্দ্র সরকার এটার মাধ্যমেই ভোটের আগের রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করছে বলে দাবী করলেন পিডিপি প্রধান। পিডিপি নেত্রীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাধলেও এখনো কেন্দ্রের শাসকদল এ নিয়ে কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া করেনি। আপনার মতামত জানান -