এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর দায় একে অপরকে ঠেলছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার

শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর দায় একে অপরকে ঠেলছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার

এদিন রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত করার সমস্ত দায় রাজ্য সরকারের জানিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে’কে। এই চিঠি নবান্নে আসে শুক্রবার দুপুর নাগাদ। শুক্রবার রাতে ভাঙড় কাণ্ড প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থ’কে ফোন করে আসন্ন নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানান। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে এরপরেই ডিজি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। আর পুলিশ সুপারেরা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনের এই কর্ম তৎপরতা মূলত আদালতের নির্দেশের কথা মনে করেই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তাঁদের মতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গতবার অর্থাৎ ২০১৩ সালের হিংসাত্মক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ভাবে রাজ্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকর্তাদের ওপরে বর্তাবে। এমনকি হাইকোর্ট জানিয়েছে প্রয়োজনে তাঁদের বেতন থেকে টাকা কেটে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্য দিকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায় শুধু রাজ্য প্রশাসনেরই নর রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে। উল্লেখ্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৫ হাজার জওয়ান মোতায়েন করে নির্বাচন পরিচালনা হয়। কিন্তু তাতেও রাজ্যে হিংসা হানাহানি সন্ত্রাস কমেনি। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ প্রশাসন সহ নির্বাচন কমিশন সকলেই উদ্বিগ্ন। সূত্রের খব অনুয়ারী শনিবার রাজ্য হাইকোর্টে ও কমিশনকে যে নিরাপত্তারক্ষীর হিসেব দিয়েছিল তার ও অতিরিক্ত দু’হাজার র‌্যাফ কিছু জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবারই নিরাপত্তারক্ষীরা বিভিন্ন জেলায় পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে। এত কিছুর পরে অবশ্য বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে কসুর করছেনা। তাদের মতে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি গুলিতে নিরাপত্তা তুলনায় হালকা থাকবে। শেষ মুহূর্তের সক্রিয়তা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক অধিকর্তা বললেন, ”আমাদের তরফে আইনমাফিক সবই করা হয়েছে। বাকিটা জেলাশাসক, জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক ও পুলিশের দায়িত্ব।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!