এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবার বিশ্বজয়ী মমতার এক স্বপ্নের প্রকল্প! বিধানসভার আগে হাসি চওড়া হচ্ছে তৃণমূল পরিবারে

আবার বিশ্বজয়ী মমতার এক স্বপ্নের প্রকল্প! বিধানসভার আগে হাসি চওড়া হচ্ছে তৃণমূল পরিবারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা সংক্রমণ কালে আবার রাজ্য সরকারের মুকুটে যোগ হল বিশ্বখ্যাতির আরও এক নতুন পালক। অল্প কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা নিবারণের প্রচেষ্টাকে বিশেষভাবে সম্মান জানিয়ে ছিল রাষ্ট্রসংঘ । এ প্রসঙ্গে পুরস্কার বিতরণর কথাও রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল।

আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প সবুজসাথী ইনফর্মেশন সোসাইটির ওয়ার্ল্ড সামিট প্রতিযোগিতায় সেরা সম্মানে ভূষিত হলো। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে গত ২০১৯ সালের বিশ্বসেরা প্রকল্পের তকমাধারী সবুজ সাথী প্রকল্প কে একটি ভার্চুয়াল পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বসেরার তকমায় ভূষিত করার কথা ঘোষণা করা হলো ইনফর্মেশন সোসাইটির পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত গত ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লবপুর একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বেশকিছু শিক্ষার্থীর হাতে সাইকেল তুলে দিয়ে এই সবুজ সাথী প্রকল্পের গোড়া পত্তন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে এই সাইকেল বিতরণ করা হয়েছিল। দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা যাতে সহজে তাদের পড়াশোনা চালাতে পারে সে কারণেই এই প্রকল্পের অবতারণা।

তারপর সময় যত এগিয়েছে, ততই সবুজ সাথী প্রকল্প রাজ্যে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল লাভ করায় রাজ্যের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। তাদের পড়াশুনার কাজে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি। পশ্চিমবঙ্গের এখনো বেশ কিছু স্থান আছে যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা অপ্রতুল। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যেতে সেখানে বাস, ট্রেন, অটো কোনটিই মেলে না এমন বহু জায়গা পশ্চিমবঙ্গের স্থানে স্থানে আছে।

এই সমস্ত স্থানে ছাত্রছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দেওয়াতে তারা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে। প্রসঙ্গত সবুজ সাথী প্রকল্পের ফলে, পশ্চিম বাংলাতে স্কুল ছুটের সংখ্যা যথেষ্ট ভাবে হ্রাস পেয়েছে, এমনটাই বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছে। এই সমস্ত কারণে সরকারের সফলতম প্রকল্প গুলির মধ্যে একটি প্রকল্প হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর এই সবুজ সাথী প্রকল্প।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী গত সোমবার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এখন থেকে আর বাহিরের কোন রাজ্য থেকে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল না কিনে এবার থেকে রাজ্যেই সাইকেলিক কারখানা স্থাপন করতে ইচ্ছুক। এর ফলে বাংলার আত্মনির্ভর হওয়ার একটা বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যদি সাইকেল কারখানা নির্মাণ করা হয় তাহলে রাজ্যের কর্মসংস্থানও যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী বিভিন্ন মহল।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সাথী প্রকল্প এবারের ইনফর্মেশন সোসাইটির ওয়ার্ল্ড সামিটে ৮০০ টি প্রকল্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব সেরার সম্মান লাভ করতে পারলো। তবে এর পূর্বে ২০১৮ সালেও বিশ্বসেরা পাঁচটি প্রকল্পর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ঘোষিত হয়েছিল সবুজসাথী প্রকল্পটি। সেসময়ে পুরস্কার আনতে জেনেভায় গিয়েছিলেন তৎকালীন সময়ের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কল্যাণ বিভাগের প্রধান সচিব এসকে থাডে, কারিগরি শিক্ষা দফতরে প্রধান সচিব রোশনি সেন, পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি ও তপশিলী উপজাতি অর্থ উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থপ্রতীম মান্না প্রমুখরা।

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই প্রকল্পের জগৎসেরা সন্মান লাভের ফলে রাজ্যের আগামী বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দিক থেকেও যথেষ্ট ভাবে লাভবান হলো শাসক শিবির, এমনটাই বিভিন্ন মহলের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!