এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবিভিপি এবং এসএফআইকে চাপে রাখতে এবার নয়া পদক্ষেপ তৃনমূলের!

এবিভিপি এবং এসএফআইকে চাপে রাখতে এবার নয়া পদক্ষেপ তৃনমূলের!

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে ভালো ফলাফল করার পরেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্রসংগঠনের দাপট বাড়তে শুরু করে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এতদিন রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিপত্য চালালেও, এবিভিপির প্রবেশ তাদের কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কার্যত শেষের দিকে ঠেলে দিয়ে প্রথম দুইয়ে স্থান করে নিয়েছে বামেদের ছাত্রসংগঠন এসএফআই এবং সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্রসংগঠন এবিভিপি। কথায় আছে, ছাত্র এবং যুব যে দলে বেশী শক্তিশালী, সেইদলের সংগঠন বেশি চাঙ্গা। তাই সেদিক থেকে এসএফআই এবং এবিভিপিকে চাপে রাখতে এবার রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইউনিট খুলতে চলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে 15 থেকে 20 জনের একটি করে ইউনিট তৈরি করা হবে। কিন্তু হঠাৎ রাজ্যের শাসকদলের ছাত্রসংগঠন এই উদ্যোগ নিচ্ছে কেন! একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তেমনভাবে অস্তিত্ব নেই। আর তাই তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে! বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, এনআরএস মেডিকেল কলেজ, কলকাতা মেডিকেল কলেজগুলোতে প্রচুর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থন রয়েছে।

কিন্তু সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীসমর্থকরা সংগঠিতভাবে কাজ করেন না। যার ফলে নিজেদের সংগঠন তৈরি করে সেখানে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। অন্যদিকে সম্প্রতি যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে বিজেপির ছাত্র সংগঠনের উত্থান রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে ইউনিট খুলে বাম এবং বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে শাসকদল বলে মত একাংশের। কিন্তু এতে কি তারা লাভ করতে পারবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে টিএমসিপি ইউনিট খোলার আর্জি জানিয়ে আমায় চিঠি পাঠিয়েছেন। আমরা তা বিবেচনা করে ইউনিট খোলার কথা ভাবছি। এবিভিপি বা এসএফআইকে চেপে রাখার প্রশ্নই আসে না। প্রতিযোগী হলে তো আসবে চাপে রাখার প্রশ্ন। রাজ্যজুড়ে কোথায় আমাদের সংগঠন, আর ওরা কোথায়!” তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি এই কথা বলে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেও, পাল্টা শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিরোধীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “টিএমসিপির প্রতি শুভেচ্ছা রইল। রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে। তবে আমাদের এতদিনকার রাজনৈতিক উপলব্ধি হল, তরুণ প্রজন্ম টিএমসিপিকে পছন্দ করে না।” একইভাবে উৎকৃষ্টমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের প্রভাব দেখে টিএমসিপি ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে বলে দাবি করেছেন এবিভিপি রাজ্য সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল খান।

কিন্তু সত্যিই কি তাই! তাহলে কি যাদবপুরের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম এবং বিজেপির ছাত্র সংগঠনের উত্থান দেখে কিছুটা আতঙ্কিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ? তাই ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজগুলোতে এখন ইউনিট করার কথা ভাবছে তারা! শাসক দলের ছাত্রসংগঠনের নয়া পদক্ষেপ কিন্তু এই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!