এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার মানুষের হাত ধরে দেশের “আচ্ছে দিন” আনবেন যে তিনিই স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার মানুষের হাত ধরে দেশের “আচ্ছে দিন” আনবেন যে তিনিই স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সব নেতারাই এখন দেশের মসনদে বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর আওয়াজ তোলেন। আর বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাদের ফার্স্ট চয়েস যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা বলতে বা ভাবতে দ্বিধা নেই কারোরই।

আর তাই তো আগামী 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপিকে সরাতে সেই বাংলার তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে বিরোধী জোট তৈরি হয়েছে তাকে সমর্থন করার আহ্বানও জানাচ্ছেন তারা।

কিন্তু শুধু দলীয় নেতারাই নয়, এবার বাংলা থেকেই যে দিল্লির মসনদে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠবে তা স্পষ্ট করে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, গতকাল ডুয়ার্সের চালসার টিয়াবন ময়দানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আচ্ছে দিনের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,দেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে দলিত আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ আসছে। আর জানিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলে তিনি বলেন, “আচ্ছে দিন কাকে বলে? দলিত’ আদিবাসীদের উপর অত্যাচার, মা বোনেদের মর্যাদা নষ্ট, সাধারন মানুষকে পিটিয়ে কখনো আচ্ছে দিন আসতে পারে না। গত চার বছরে এরা দেশের হাল একেবারেই খারাপ করে দিয়েছে।”

আর এরপরই প্রত্যয়ী এবং আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “বাংলা যা পারে তা কেউ পারে না।” আর সেই কারণেই বাংলা থেকেই কেন্দ্রে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠবে। বাংলায় দেখাবে আচ্ছে দিন বলে দাবি বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন দাবির পেছনে অকাট্য যুক্তি রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় রাজনীতির যে সমীকরণ তাতে আগামী লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস একটি ফ্যাক্টর হতে চলেছে। ফলে বিজেপিকে সরাতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রীর এই বাংলা যে দেশকে পথ দেখাবে তা এককথায় বলাই যায়।

সূত্রের খবর, এ দিন এই সরকারি জনসভা থেকেই প্রশাসন এবং দলীয় বিধায়কদের সঠিক সময়ে মানুষের কাছে যাতে পরিষেবা পৌঁছে যায় সেই ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সব কাজ বিফোর টাইমে হবে, আফটার টাইমে নয়।”

অন্যদিকে এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক তথা সাধারণ মানুষের মনে জমাট বেঁধে থাকা প্রশ্নেরও এদিন উত্তর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু কি সেই প্রশ্ন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবর্তমানে তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত ক্ষমতা কোন ব্যক্তিরই নেই বলে বিভিন্ন সময় কটাক্ষ করে বিরোধী দলগুলো।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন সমালোচকদের সেই নিন্দার ভষ্মে ঘি ঢেলে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমি পরবর্তী লিডারশিপ তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। মা মাটি মানুষই যে আমাদের একমাত্র অভিমুখ সেই শিক্ষাই দলকে সব সময় দিয়েছি।” সব মিলিয়ে একদিকে রাজ্যের উন্নয়ন আর অপর দিকে দলকে শক্তিশালী করে আগামী 2019 এ বাংলা থেকেই পরিবর্তনের ডাক দেওয়ার পক্ষে ফের উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে জোর সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!