প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনাভাইরাস যেভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে তাতে শারদ উৎসবে এবার বাঙালি আদৌ সঠিক ভাবে আনন্দ করতে পারবে কিনা তা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। মা দুর্গা অসুরকে বধ করেছিলেন। কিন্তু বাঙালি এই করোনা সুরকে বধ করতে কতটা সক্ষম হবেন, তা প্রতিষেধক না বাড়ানোর ফলে আরও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে দুর্গাপুজো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পালন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ খুব তাড়াতাড়ি আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। তাই এবারের দূর্গাপূজায় যাতে বাড়তি সুরক্ষা থাকে, তার জন্য সকলকে সচেতনতা পালন করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, সোমবার গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি সহ দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে যে বোর্ড তৈরি হয়েছিল, তার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আর এই বৈঠকের পরেই এবারে করোনা ভাইরাসের মধ্যে দুর্গাপুজো কিভাবে পালন করা হবে, তার বার্তা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “সামনে পুজো। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বোর্ডের সদস্যরা প্যান্ডেল খোলামেলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। পুজো কমিটি নিয়ে 25 তারিখ বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনা হবে। প্যান্ডেল বদ্ধ থাকলে বা বেশি লোক সেখানে যাতায়াত করলে সমস্যা। সুরক্ষার স্বার্থে প্যান্ডেলগুলো বেশি না ঢাকতে বলেছেন বোর্ডের সদস্যরা।”

প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, শীতের আগে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। তাই পুজোর মধ্যে মানুষ আনন্দ করবে কথা যেমন সত্য, ঠিক তেমনই সেই আনন্দের মাঝে যাতে বিহার না আসে, তার জন্য করোনা ভাইরাসকে আটকাতে বেশ কিছু সতর্কতা এখন থেকেই পালন করতে হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রোগ এত তাড়াতাড়ি চলে যায় না। এখন প্রথম পর্যায় চলছে। কাল তো দ্বিতীয় পর্যায় আসতে পারে। এখন থেকে তৈরি থাকতে হবে। নতুন ঢেউ এলে তা যাতে সামলানো যায়। আর্থিক সংক্রান্ত অনেক কাজ রাজ্যে হয়েছে। আরও ভালো কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রোগ যাতে ছড়াতে না পারে, তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস কিছুটা হলেও শিথিলতার দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু প্রথম পর্যায় চলায় আগামীদিনে যে দ্বিতীয় পর্যায় আসবে না, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন থেকেই পুজোর আগে যাতে করোনা ভাইরাস নিয়ে বেশি চিন্তিত হতে না হয়, তাই সকল দিকেই পরিবেশবান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করে এগোতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। দূর্গাপূজার মধ্যে আনন্দপ্রিয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে যাতে আরও আনন্দমুখর করা যায়, তার জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।