এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আদালত-প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়রকমের ভিড় জমিয়ে দাপটে পুজো শুরু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের

আদালত-প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়রকমের ভিড় জমিয়ে দাপটে পুজো শুরু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুজোর তৃতীয়ার দিন করোনা অতিমারিকে রুখতে হাইকোর্টের বিশেষ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে সব মহল থেকেই। নিয়ম করে হাইকোর্ট অঞ্জলি থেকে সিঁদুরখেলা- এমনকি মন্ডপে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা সবকিছুই এবছর হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত বন্ধ। কিন্তু তাতে করেও কি সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে? নিয়ম যে সবাই মেনে চলছে তা বোধহয় না। পুজোর দিনগুলিতে হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বড় বড় পুজো কমিটিগুলি কোনরকমে নিয়ম মানার কথা বলে কার্যত দায় সেরেছে। একই রীতি কিন্তু শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরাও মানছেন।

সুতরাং, সমস্ত গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছে পুলিশের হাতেই বলে মনে করা হচ্ছে। গত দুদিনে মণ্ডপের সামনে হোক কিংবা পথে জনতার ঢল কিন্তু দূরত্ববিধি মানছে না। আর সে কথা বারেবারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন উঠেছে, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পূজামণ্ডপের ভিড় আটকানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? সরকারি নেতা-মন্ত্রীদের সামনেই যা হচ্ছে, তাতে হাইকোর্টের রায় কিন্তু মান্যতা পাচ্ছে না।

আর এমনই ঘটনা ক্যানিং এর দুটি পুজো উদ্বোধন মঞ্চে ধরা পড়েছে। ক্যানিং মিঠাখালি সর্বজনীন এবং ক্যানিং হাসপাতালপাড়া সার্বজনীনের পুজো উদ্বোধন মণ্ডপের সামনে কয়েকশো লোকের ভিড় তৈরি হয়, মঞ্চে তখন তৃণমূলের নেতারা বসে। মিঠাখালির অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন সংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, আইসি আতিউর রহমান, দলের নেতা পরেশরাম দাস, শক্তিপদ মন্ডল প্রমুখ। করোনা সচেতনতা নিয়ে এবং আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা প্রত্যেকেই বলেন, কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণ কি করে হবে তা নিয়ে কেউই বিশেষ কিছু বলতে পারেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে হাবরায় এদিন দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবং তিনি দলীয় মঞ্চ থেকে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন আদালতের রায়ে এবছর পুষ্পাঞ্জলী বন্ধ হয়ে গেল বলে। তাঁর মতে পুজো বন্ধ করে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত হয়েছিল আগেই। অনেকেই চেয়েছিলেন বাংলার প্রধান উৎসব এ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাক। প্রশ্ন উঠেছে, আদালতের রায় যখন শাসকদল মেনে নিয়েছে তখন এ কথা উঠছে কেন? যদিও তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি খাদ্যমন্ত্রীর কথায়।

তবে এদিন আদালতের রায় কার্যকর করা নিয়ে এবং কার্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ আধিকারিকরা বুধবারের মধ্যে মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড শেষ করার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেডের কাজ খতিয়ে দেখা হবে বনগাঁর সমস্ত মণ্ডপে। একইভাবে শারদ সম্মানের বিচার প্রক্রিয়া এবছর বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বনগাঁয় পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়লেও, ডায়মন্ডহারবার শহরের ছোট-বড় পুজোগুলিতে কিন্তু ব্যারিকেড তৈরি পুলিশি উদ্যোগ চোখে পড়েনি। কিন্তু পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, মণ্ডপগুলি নিয়ম মানছে কিনা তার ওপর জেলা পুলিশের কড়া নজর থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইকোর্টের নির্দেশে যেভাবে এবছর পুজো মণ্ডপ থেকে দর্শনার্থীদের দূরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও অবস্থা সামাল দেওয়ার আভাস রয়েছে। কিন্তু তার জন্য শুধু হাইকোর্টকে নয়, উদ্যোগ নিতে হবে প্রশাসনকেও এবং ক্লাব কর্মকর্তাদেরও চিকিৎসকরা এমনিতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুজো শেষ হবার পরে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু হাইকোর্ট কিংবা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে যেভাবে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারা পুজো প্যান্ডেলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন এবং তাদেরকে দেখার ভিড় ধীরে ধীরে বাড়ছে তা কিন্তু ক্রমাগত সংক্রমণের আশঙ্কার পারদকে ঊর্ধ্বমুখী করছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!