এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ট্যাটু শিল্প প্রেমী থেকে কাটা মুন্ডু সংগ্রহের অদ্ভুত শখ। বর্ণময় জীবনের এমনই গল্প শোনাচ্ছেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা।

ট্যাটু শিল্প প্রেমী থেকে কাটা মুন্ডু সংগ্রহের অদ্ভুত শখ। বর্ণময় জীবনের এমনই গল্প শোনাচ্ছেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সমুদ্রতটের বালিমাখা ঝিনুক থেকে শুরু করে পোস্টকার্ডের স্ট্যাম্প, কখনো নামী ব্যক্তিদের সই তো কখনো নানা দেশের নানা সময়ের মুদ্রা। আবার কখনও অতি মূল্যবান সামগ্রী, বিবিধ মানুষের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় স্থান পায় এমনই নানা অদ্ভুত জিনিস। তবে সেখানে এক অদ্ভুত ব্যক্তিগত সংগ্রহ ভান্ডারের মালিক হলেন মেজর-জেনারেল হোরাতিও গর্ডন রোবেলি। জানা যায়, তাঁর কাটা মুন্ডু সংগ্রহের অদ্ভুত এক শখ ছিল।

হ্যাঁ, শুনলে অবাক লাগলেও তিনি এমনটাই করেছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা এবং শিল্পী যিনি নিউজিল্যান্ডে ১৮৬০ এর দশকে যুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি নৃবিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং ট্যাটু শিল্প নিয়ে আগ্রহী ছিলেন বলেও জানা যায়। সেইসঙ্গে তিনি একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ছিলেন বলেও জানা যায়।

“মাওরি উলকি” বইটির স্রষ্টা জীবনে ৩৫ থেকে ৪০টি মোকোমোকাই (মাওরি উলকি আঁকা) এর একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছিলেন। সেখানে এই সংগ্রহ করা মুন্ডুগুলি পরে নিউইয়র্কের ন্যাচারাল হিস্ট্রি যাদুঘর কিনে নিয়েছিল বলেও জানা যায়। বস্তুত, এই মুখের ট্যাটুগুলি মাওরি সংস্কৃতিতে প্রায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সাধারণত পুরুষরাই তাদের মুখে এমন উলকি করত তবুও উচ্চ-স্তরের মহিলারা প্রায়শই তাদের ঠোঁটে এবং চিবুকের উপর মোকো ট্যাটু করত। কোনও ব্যক্তি এবং তাদের পূর্বপুরুষের মধ্যে সংযোগ চিহ্নিতকরণ হিসাবে কাজ করে। জানা যায়, অবসর গ্রহণের পরে লেখালেখির সাথে সাথে, তিনি এমন উল্কির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।

বস্তুত, ১৮৬৪ সালে ব্রিটিশ মেজর জেনারেল হোরাশিও গর্ডন রবলে কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে কয়েক বছর কাটান। সেখানে তিনি মাওরি উপজাতির পুরো মুখ জুড়ে নানা আঁকা দেখতে পান। মূলত উপজাতিদের এই গোষ্ঠী নিজেদের আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে এহেন ট্যাটু আঁকাতো বলে তিনি জানতে পারেন। সেইসময় পছন্দ হতে জেনারেলের নিজেরই হাতে কিছু ট্যাটু এঁকে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে এই এঁকে আনা ট্যাটুর বিবরণ লেখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তিনি মাওরিদের কাটা মাথা সংরক্ষণ করা শুরু করেন। সেখানে মাথার ভেতরের পচনশীল অংশ যেমন: চোখ, ঘিলু, চামড়া এগুলো বের করে বিশেষ গাছের ছাল ও আঠার মাধ্যমে তিনি ওই মাথা সংরক্ষণ করতেন বলে জানা যায়। আর এতেই কিছু মাথা বছরের পর বছর অবিকৃত থেকে যায়। আর সেগুলোই আজ জাদুঘরে প্রায় হাজার বছর আগের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। (ছবি- সংগৃহীত)

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!