এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > অধিক সংক্রামক এলাকাকে চিহ্নিত করে, করোনা সংক্রমণ রোধে নয়া উদ্যোগ প্রশাসনের

অধিক সংক্রামক এলাকাকে চিহ্নিত করে, করোনা সংক্রমণ রোধে নয়া উদ্যোগ প্রশাসনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশে ও রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৬৩ জন। তবে, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার মত জেলাগুলিতে এখনো সংক্রমণ যথেষ্ঠ রয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জেলায় সংক্রমণ এখনো তীব্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় এক নতুন নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। এবার থেকে কনটেইনমেন্ট জোন কমিয়ে দিয়ে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে একটি পুরো শহর বা বিস্তীর্ণ এলাকার পরিবর্তে কোন ছোট এলাকা নিয়ে তৈরি হবে কনটেইনমেন্ট জোন। সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এই নির্দেশ দিয়েছেন। একাধিক জেলার কাছে নির্দেশ পৌঁছে গেছে। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোন একটি জেলার দৈনিক সংক্রমনের তথ্য অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেয়া হবে। জেলা প্রশাসনই এই মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করবে। এই এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। যেখানে ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা ও ট্র্যাকিং করা হবে। সেই সঙ্গে চলবে নজরদারি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলা প্রশাসনকে দেওয়া মুখ্যসচিবের নির্দেশ অনুযায়ী, করোনার দৈনিক তথ্য যাচাই করে সংক্রমণ প্রবণ এলাকাকে চিহ্নিত করতে হবে। এই সমস্ত এলাকায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে। এখানে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। একমাত্র জরুরী পরিষেবা চালু থাকবে এই সমস্ত এলাকায়। দরকার হলে পুলিশের ব্যারিকেড করা হবে। সেইসঙ্গে করোনা পরীক্ষা ও ট্র্যাকিং বাড়ানো হবে। নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। এইসব এলাকায় প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি আরোপ করা হবে। তবে জরুরি যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে।

একাধিক জেলার কাছে এই নির্দেশ ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। যেখানে জানা গেছে, এবার আর পুরো শহর বা কোন বিস্তীর্ণ এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হবে না। এ ক্ষেত্রে কোন একটি পাড়া, কোন একটি রাস্তা বা কয়েকটি বাড়ি বা ফ্লাটকে নিয়ে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হতে পারে। সার্বিক ভাবে রাজ্যে যে সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণে ছাড় দেয়া হয়েছে, তা এইসব এলাকায় দেয়া হবে না।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানালেন যে, কনটেইনমেন্ট জোন যেমন চিহ্নিত করা হযে, সেই সঙ্গে এসব এলাকার বাজারে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা? সে বিষয়েও নজর রাখা হবে। বাজারে ভিড় বেশি হলে প্রয়োজনে বাজার তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য কোন জায়গায় তা বসানো হবে। প্রসঙ্গত, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্থিমিত হয়ে এলেও তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার ও প্রশাসন। এ কারণেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কারণেই রাজ্যজুড়ে নিয়ন্ত্রণ পরিধি আরো দুসপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!