এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > অধিকারী-গড়ে বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, আহত ১২ – গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বিরোধীদের চক্রান্ত? বাড়ছে জল্পনা

অধিকারী-গড়ে বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, আহত ১২ – গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না বিরোধীদের চক্রান্ত? বাড়ছে জল্পনা


তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো শুভেন্দু অধিকারী গড়ে। কাঁথি-৩ ব্লকের সরপাইয়ের উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতির গাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এলাকায় বোমাবাজির হয়েছে বলেও অভিযোগে জানা গিয়েছে।

ঘটনায় ১২ জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে বলে দাবীতে জানায় তৃণমূল। সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও এ অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁরা। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তুলেছে এলাকার বাম নেতা-কর্মীরা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দা তথা রাজনৈতিকমহলে।

স্থানীয় সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে মন কষাকষি চলছিল। ঘটনার দিন সকালেই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধোর এবং তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিপক্ষ গোষ্ঠীর উপর। এই সমস্যার সমাধানের জন্যে ঘটনার দিন সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ সরপাই এলাকায় যান বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য চন্দ্রশেখর মণ্ডল, কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা।

গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময় হঠাৎ করেই বোমাবাজি শুরু হয় এলাকায়। তারপর হামলাকারীরা সেখানে থাকা দলীয় কর্মীদের ১২ টি বাইক ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয়,একটি বাইক পাশের খালে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনতিদূরে থাকা বিধায়কের গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমাও ছোঁড়ে আততায়ীরা।

গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বিধায়ক সহ বাকি তৃণমূল নেতারা প্রাণের ভয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তৃণমূল কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পাল্টা আক্রমণ করলে আহত হন ১২ জন সিপিএম কর্মী,এরকমটাই দাবী তৃণমূলের।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর দলে দলে তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা জড়ো হলে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। দোষীদের শাস্তির দাবীতে ঘটনাস্থলেই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে বিধায়ক সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে মারিশদা থানার পুলিশ। ঘটনার পরদিন তৃণমূলের তরফ থেকে সিপিএমের কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

সিপিএম আবার পাল্টা অভিযোগ তোলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত,তদন্তসূত্রে জানা গিয়েছে, সরপাই এলাকায় আগে সিপিএমের দাপট থাকলেও ক্ষমতার পালা বদলের পর সেটি তৃণমূলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে পরিনত হয়েছে।

উক্ত ঘটনার জন্য সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বিধায়ক জানান,সন্ত্রাস ছড়িয়ে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে চাইছে সিপিএমের হার্মাদবাহিনী। শুধুমাত্র এলাকা দখলের জন্যে এটা করছে তাঁরা,এমনটাই দাবী তাঁর। এই হিংসাত্মক ঘটনার জন্যে দোষীদের শাস্তির দাবী করা হয়েছে বলেও জানালেন তিনি।

অন্যদিকে,এই অভিযোগকে অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করলেন সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা। প্রসঙ্গে বললেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়েই বিরোধীদের রোষের মুখে পড়েছেন বিধায়ক। এই ঘটনায় সিপিএম কোনোভাবেই দায়ী হয়,এমনটাই দাবী করলেন এই বাম নেতা।

বর্তমানে উক্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানালেন মারিশদার ওসি চন্দ্রকান্ত শাসমল। যে কোনো ধরনের অশান্তি এড়াতে এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখেই দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেই জানালেন ওসি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!