এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অধিকারী পরিবার নিয়ে মুখ খুললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, জেনে নিন বিস্তারিত!

অধিকারী পরিবার নিয়ে মুখ খুললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, জেনে নিন বিস্তারিত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি নিজের কার্যালয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি এবং তৃণমূলের প্রতীক সরিয়ে দিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছিল মনীষীদের ছবি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পর কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী কোন পথ অবলম্বন করেন, তার দিকে নজর ছিল সকলেরই। হঠাৎ করেই বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের তার বাড়িতে চলে আসা এবং কথোপকথন জল্পনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দেয়।

তবে তার পরবর্তীকালে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী সেই মিহির গোস্বামীর বাড়িতে আসলেও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করেন, মিহিরবাবু এখন দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন। তাই বিরোধী জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করলেও, নিজের দলের নেতা তথা মন্ত্রীদের সঙ্গে তিনি দেখা করছেন না। অবশেষে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন মিহির গোস্বামী। তবে শুধু নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোই নয়, রাজ্যে বর্তমানে যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে, সেই অধিকারী পরিবার নিয়েও মুখ খুলতে দেখা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। যেখানে তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরবেন না বলে জানিয়ে দেন এই বিধায়ক। তাহলে কি মিহির গোস্বামী অন্য কোনো রাজনৈতিক পথ বেছে নিলেন! কি করবেন তিনি? এদিন আশ্চর্যজনকভাবে সেই ব্যাপারে কিছু না বললে অধিকারী পরিবার নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় মিহিরবাবুকে। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত তার দলত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই। দল, রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে থাকবে। ওদের সঙ্গে আমার 40 বছরের সম্পর্ক। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা আমার পিতৃসম।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হলেও, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভায় যোগদান অস্বস্তিতে ফেলছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এই পরিস্থিতিতে হয় শুভেন্দু অধিকারী নতুন মঞ্চ গঠন করতে পারেন, তা না হলে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে দাবি করছেন একাংশ। আর তার মাঝেই সেই শুভেন্দু অধিকারী পরিবারের প্রশংসা করে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখার কথা জানিয়ে দিলেন কোচবিহারের মিহির গোস্বামী।যা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে আরও অস্বস্তিতে ফেলল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

একাংশের মতে, তাহলে কি দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কথা বলে শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলেন মিহিরবাবু? তাহলে কি এবার বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন কোনো মঞ্চের উত্থান ঘটবে! যেখানে তৃণমূলের বিদ্রোহীরা সেই মঞ্চে যোগ দেবেন! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এইরকম সমীকরণের সৃষ্টি হয় বাংলায়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস যে প্রবল চাপে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দিনেই শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে বলে জানিয়ে দিয়ে ক্রমশ জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন মিহির গোস্বামী। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!