এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধিকারী পরিবার সরে যাওয়ায় এবার কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তৃণমূল শিবির?

অধিকারী পরিবার সরে যাওয়ায় এবার কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তৃণমূল শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। এতদিন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লেও তাঁর বাড়ির বাকি তিন সদস্য কিন্তু তৃণমূলেই ছিলেন। কিন্তু গোল বাধে যখন সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যথারীতি তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে সম্মুখ সমর শুরু হয় অধিকারী পরিবারের। সৌমেন্দু হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে সেখানেও ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয় সৌমেন্দুকে। এই অবস্থায় সৌমেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেন আজ। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হেভিওয়েট নেতারা অধিকারী পরিবারকে মীরজাফরের পরিবারের সঙ্গে তুলনা করেন।

যথারীতি এই ঘটনায় অধিকারী পরিবারের মাথা শিশির অধিকারী অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করেন। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী একদিকে যেমন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলতে পারবেন না, অন্যদিকে তিনি এটাও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি এখনও মান্যতা দেন। আপাতত শিশির অধিকারী কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট দোলাচলে দুলছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে শিশির অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ। দিব্যেন্দু অধিকারী ও তাই। অতএব তিনি বা দিব্যেন্দু বিজেপিতে যাবেন কিনা তা সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

তবে দলের সম্পর্কে কিন্তু যথেষ্ট শ্লেষ মিশ্রিত মন্তব্য শোনা গেছে শিশির অধিকারীর গলায়। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রায়ই আগে ফোন করতেন। তবে এখন সেসবের পাট চুকে গেছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু দল ছাড়ার জন্য তাঁর পরিবারকে কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক দল। আর সেখানেই শিশির অধিকারীর যাবতীয় ক্ষোভ। তিনি জানিয়েছেন, মেদিনীপুরের মানুষের কাছে অধিকারী পরিবারের গুরুত্ব ছিল এবং থাকবেও। তাই মানুষই এই অপমানের জবাব দেবে। অন্যদিকে শিশির অধিকারী এদিন শুভেন্দুর পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন কষ্ট অভিমান নিয়ে দল ছেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুভেন্দু গেরুয়া শিবিরে যে যোগদান করতে চলেছেন, সে ব্যাপারে শিশির অধিকারী কিছুই জানতেন না। তবে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভা প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই মানতে পারেননি তিনি। এবং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক রীতি মেনে হয়নি। পাল্টা শিশির অধিকারী এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূলের হয়ে কথা বললেও তিনি কখনোই কোনদিন তাঁর ছেলে শুভেন্দু বা সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারবেননা। তবে এদিন তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তিনি তাঁর নেত্রী হিসেবে মানেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তিনি এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি।

শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন কিনা সে ব্যাপার নিয়ে কিন্তু কোন উত্তর এখনো শিশির অধিকারী দেননি। বরং জল্পনা রেখে জানান, মানুষ জবাব দেবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। শিশির অধিকারী জানান, অবিভক্ত মেদিনীপুরে তাঁরই নেতৃত্বে প্রচুর মানুষ যোগ দেয় তৃণমূলে আর সেই অধিকারী পরিবারকেই মীরজাফর বলা হলো। এ প্রসঙ্গে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এদিন শিশির অধিকারী। বলাইবাহুল্য, অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা শাসকদলের দূরত্ব বর্তমানে কয়েক যোজন বেড়ে গেছে, যা আপাতত মেটার নয়। তবে দেখার, 21 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখলে অধিকারী পরিবারের তৃণমূলের পাশে না থাকার মাসুল তাঁদের গুনতে হয় কিনা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!