এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ভোট মিটতেই অধীর চৌধুরীর হুংকার – “মুর্শিদাবাদে তিনে তিন, তৃণমূলকে কবর দিন” সত্যি হতে চলেছে!

ভোট মিটতেই অধীর চৌধুরীর হুংকার – “মুর্শিদাবাদে তিনে তিন, তৃণমূলকে কবর দিন” সত্যি হতে চলেছে!


নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার অনেক আগে থেকেই কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গড় বলে পরিচিত বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র দখলের জন্য সেখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে সেখানে যাতে এবার ঘাসফুল ফোটানো যায় তার জন্য নানা সভা সমিতির মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন কংগ্রেসের উদ্দেশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি, ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষের কাছে এই ব্যাপারে আবেদন রেখেছেন শুভেন্দুবাবু।

আর এহেন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই গত 29 শে এপ্রিল এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর ভোট পর্ব মেটার সাথে সাথেই কে এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র দখল করবে তা নিয়ে দু’পক্ষই হিসেব নিকেশ করতে শুরু করে দিয়েছে। মূলত এবার এখানে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাথে তৃণমূলের অপূর্ব সরকারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে। আর অধীর বনাম অপূর্বর এই লড়াইয়ে দুজনেই জয়ের ব্যাপারে 100% আশাবাদী।

কংগ্রেসের দাবি, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এখানে সন্ত্রাস করে এবং বুথ দখলে করে জয়লাভ করলেও এবারে সাধারন মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। তাই এবারে ভোট বাক্সে তারা কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন। তাদের আরও দাবি, এবারে এই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী এক লক্ষ থেকে দু লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র দখল করার জন্য এবার তৃণমূল অনেক বড় গেমপ্ল্যান করা সত্ত্বেও কংগ্রেস কর্মীরা বুথ আগলে রেখেছিলেন। দুমাস আগে আমরা স্লোগান তুলেছিলাম, জেলায় তিনে তিন, তৃণমূলকে কবর দিন। আশা করছি, এই স্লোগানটি বাস্তবায়িত হবে।”

অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে 100 শতাংশ আশাবাদী এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার বলেন, “লোক না থাকায় কংগ্রেস অনেক বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি। আর এখন হার নিশ্চিত দেখেই ওরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখেই এবার তৃণমূলকে এখানে জয়যুক্ত করবেন।” তবে তৃণমূল বনাম কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে জয় নিয়ে দাবি, পাল্টা দাবিকে ঘিরে রাজনীতি সরগরম হলেও এখানে বিজেপি যে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “নরেন্দ্র মোদির হাওয়ায় এবার আমাদের প্রার্থীই এখানে জয়লাভ করবেন।” তবে আশ্চর্যজনকভাবে ভোটের পর থেকে এখানকার আর এসপি প্রার্থী ঈদ মহম্মদ এবং তার দলের নেতাদের ফোনেই পাওয়া যাচ্ছে না। যা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। সব মিলিয়ে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের জন্য কে শেষ হাসি হাসে তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!