অধীর চৌধুরীর পরবর্তী রাজনৈতিক গন্তব্য কি বিজেপি?জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ রাজ্য September 22, 2018 প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে যে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অপসারণ হবে,এমনটা জল্পনা চলছিল বেশ কিছু দিন থেকেই। তবে সে জল্পনা যে এতো জলদি সত্যি হবে,সে বোধহয় অনেকেই কল্পনা করেননি। অপ্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সোমেন মিত্রকে যাকে রাজনীতির অঙ্গনে বহুকাল দেখা যায়নি। তারপর থেকেই বিজেপি-সিপিএম শিবিরে বহরমপুরের এই এমপি’কে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে দফায় দফায় হঠাৎ করে লোকসভা ভোটের আগেই কেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অধীর বাবুকে? অধীরবাবুর পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে দিনভর নানা জল্পনা চলেছে। রাজ্য পার্টির সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অধীরবাবু কি আদৌ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকবেন? এই কংগ্রেস নেতা কি দলবদল করবেন? এহেন হাজারো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের দাবি, অধীর চৌধুরীর পরবর্তী রাজনৈতিক গন্তব্য বিজেপি। সেই জল্পনাকে কার্যত উস্কে দিয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, আমরা তো অনেককেই বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। অধীরবাবুকে স্বাগত জানাতে সমস্যা কোথায়! সাথেই এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানালেন রাহুল গান্ধী আগামী লোকসভা নির্বাচনে জোটের কথা ভেবেই অধীর বাবুকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে সভাপতির দায়িত্বে এনেছেন। রাহুল গান্ধী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে চান,সেটা আরো একবার বুঝিয়ে দিলেন ভোটের আগে দলীয় সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন এনে। আসলে অধীর চৌধুরী যে কট্টর তৃণমূল বিরোধী একথা অজানা নয় কারো। লোকসভা নির্বাচনে জোট প্রসঙ্গ উঠলেই প্রদেশ কংগ্রেস দল দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যায়। এক গোষ্ঠী বলে সিপিএম-এর সঙ্গে জোট বাঁধতে,আরেক গোষ্ঠী বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে। এই মতানৈক্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দলীয় সংগঠনে। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে। এই সুযোগেই বিরোধীরা কখনো প্রলোভন দেখিয়ে আবার কখনো ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসী দের নিজেদের দলে টেনেছেন। এমতাবস্থায় অধীর বাবু কোনঠাসা হয়ে পড়লেও বারবার বুঝিয়েছেন লোকসভা ভোটে একা লড়াই-এ নামতে হলেও তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতায় আসবেন না কখনোই। আর এতেই আপত্তি ছিল কংগ্রেস সুপ্রিমোর। তাই তড়িঘড়ি করে অধীর বাবুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ছাটাই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটের দিকে এক কদম এগিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে আমরা তো অনেককেই বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। অধীরবাবুকে স্বাগত জানাতে সমস্যা কোথায়!এই বার্তা দিয়ে কার্যত অধীরবাবুকে সরাসরি বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দিলেন দিলীপবাবু বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। এর আগে অধীর ঘনিষ্ট কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা হুমায়ুণ কবীর বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তখনও জল্পনা চলছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরে যে হুমায়ুণ কবীরকে বিজেপিতে পাঠানোর নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন খোদ অধীর বাবুই। আসলে বন্ধুকে বিজেপিতে পাঠিয়ে নিজের গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার পথ মসৃণ রাখলেন তিনি। এ নিয়েও ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। এরকম পরিস্থিতিতে অধীরবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওয়াকিবহালমহল। তবে এসব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অধীর বাবু কিন্তু বারবার বলছেন তিনি কংগ্রেসের একনিষ্ট সেবক। আপাতত কংগ্রেসের হয়েই কাজ করে যেতে চান। এখন আগামীতে কী হয় সেটা ভবিতব্য! আপনার মতামত জানান -