অবশেষে রাজ্যের পঞ্চায়েত নিয়ে ফয়সালা হল সুপ্রিম কোর্টে – আর রায় বেরোতেই দেখা গেল হাসি চওড়া হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে, বড়সড় ধাক্কা খেল – বিজেপি, বামফ্রন্ট সহ বিরোধী দলগুলো। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট – নতুন করে কোনও ভোট করা হবে না। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জয়ী প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা যাবে এবার। আর তাই বোর্ড গঠনেও আর কোনো বাধা রইলো না।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই বিজেপি-বামফ্রন্ট-কংগ্রেস সকলেই মিলিতভাবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলেছিল। এমনকি রাজ্যের যে প্রায় ৩৪% আসনে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে – তার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি ছিল, শাসকদলের ‘লাগামহীন সন্ত্রাসের’ ফলেই সেখানে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে নি। যদিও শাসকদল প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়েছিল – বিরোধীরাই প্রার্থী খুঁজে পায় নি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আজ তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন। তিনি জানালেন যে রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এর রায়কে মেনে নিলেন কিন্তু ক্ষোভ উগরে বললেন যে,”সুপ্রিম কোর্টের রায় আমরা মানতে বাধ্য। কিন্তু তা বলে এটা হতে পারে না যে সুপ্রিম কোর্টের উপরে কোনও সত্যি নেই। এটা আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করছি যে, রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে।”

পাশাপাশি তৃণমূল একে স্বাভাবিকভাবেই বিরাট জয় বলে ব্যাখ্যা করবে তাও জানালেন। পাশাপাশি জানালেন ,তৃণমূলের হাসি বাড়ল এই রায়ের ফলে। কিন্তু আদতে রাজ্যে গণতন্ত্রের হত্যা হল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আগেও এ কথা বলেছে। সাথেই ফের দাবি করেন যে শুধু ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ই নয়, ৬৬ শতাংশ আসনে যে লড়াই হয়েছে, তাও প্রহসন হয়েছে। সাথেই দৃঢ়ভাবে বলেন একথা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আগামী দিনেও বলব। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া এদিন তিনি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ব্যাখ্যায় বলেন আমরা আমরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসনে পুনরায় ভোটের দাবি জানাইনি ঠিক কত কিন্তু আজ যদি ৩৪ শতাংশ আসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অন্য কিছু রায় দিতেন তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটাই ভেস্তে যেত প্রভাব পড়ত বাকি ৬৬ শতাংশ আসনে। তবুও বলা যায় যে আজকের সুপ্রিম কোর্ট এর এই রায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।