এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মুর্শিদাবাদে নিচুতলায় জোট পোক্ত হচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপির, জল্পনা বাড়িয়ে নীরব অধীর চৌধুরী

মুর্শিদাবাদে নিচুতলায় জোট পোক্ত হচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপির, জল্পনা বাড়িয়ে নীরব অধীর চৌধুরী


রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে যখন তৃনমূলের সাথে আসন সমঝোতায় ব্যাস্ত মালদহের কংগ্রেস সাংসদেরা, ঠিক তখনই সেই কংগ্রেসেরই প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে প্রকাশ্যে উঠে এল বিজেপি-কংগ্রেস আসন সমঝোতার মত ঘটনা। এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিই এখন প্রধান শত্রু কংগ্রেসের। তাহলে সেই কংগ্রেসেরই প্রদেশ সভাপতি মালদহে বিজেপিকে আটকানোর জন্য ডালু মৌসমের তৃনমূল প্রীতিকে কটাক্ষ করলেও নিজের গড়েই কেন এভাবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রধান শত্রু বিজেপির সাথে সমঝোতা করলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোথাও কাউকে বলা হয়নি বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে বোর্ড গঠন করতে হবে। স্থানীয় কোনও নেতা বা নেত্রী কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা তাদের ব্যাপার। বাংলায় আমাদের লড়াই সাম্প্রদায়িক বিজেপির এবং স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে”। কিন্তু তাহলে সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির সাথেই কেন নিজের গড়ে জোট গড়ল কংগ্রেস?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন সেই ব্যাপারে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বেওয়া-১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়েই নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক তথা এআইসিসির সদস্য মইনুল হক। শুধু তাই নয়, বহরমপুর ব্লকের সাঁটুই চৌরিগাছাতেও কংগ্রেস সেই বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে বোর্ড গঠন করেছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অধীরবাবু কোনও উত্তর না দিয়ে কার্যত সভা শেষ করে চলে যান।

তবে বিজেপির সাথে বোর্ড গঠন নিয়ে কোনো কথা না বললেও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত পরিচালনায় তৃণমূল ব্যর্থ হলে বিডিও, এসডিও, ডিএমদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার চেষ্টা হলে সেই পঞ্চায়েত আইনের বিরোধিতা করা হবে। আর তা রুখতে দরকারে আমরা আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনে নামব”। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও বিজেপির প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য না করায় অধীর চৌধুরীকে নিয়ে চরম জল্পনা তৈরি হল রাজনৈতিক মহলে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!