এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অধীরের অভিযোগের তদন্তে ইডি! এবার কি মেট্রো ডেয়ারি নিয়ে ঘুম উড়তে চলেছে মমতা সরকারের?

অধীরের অভিযোগের তদন্তে ইডি! এবার কি মেট্রো ডেয়ারি নিয়ে ঘুম উড়তে চলেছে মমতা সরকারের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উদ্যোগে অস্বস্তি বাড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের? মেট্রো ডিয়ারির শেয়ার হস্তান্তর মামলায় রাজ্যের অর্থসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ চার মামলার বক্তব্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, মেট্রো ডেয়ারির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে রাজ্য দুগ্ধ ফেডারেশন পরিচালনা করে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর।

তাই এই মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি নিয়ে বিভাগীয় সচিবদের বক্তব্য জানতে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর করা মামলার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তদন্তকারী সংস্থা এই ব্যাপারে ময়দানে নামতেই এখন রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। জানা গেছে, রাজ্যের অর্থ সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, রাজেশ সিংহ এবং রাজীব কুমারকে আগামী 22 শে জুন কলকাতা অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মূলত যে চারজন প্রশাসনিক কর্তাকে ডাকা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই 2017 থেকে 2019 সালের মধ্যে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব ছিলেন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের এই চার কর্তাকে ইডির পক্ষ থেকে ডাকায় এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। আর তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যদি এই ঘটনার তদন্ত করবে, তাহলে সংস্থার কর্তাদের না ডেকে কেন তারা বারবার সরকারি আমলাদের ডাকছে? তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই চার কর্তাকে ডাকা হচ্ছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, “আর্থিক অপরাধের অভিযোগের মামলায় নির্দিষ্ট তথ্য হাতে না নিয়ে পদক্ষেপ করা হয় না। অর্থসচিব সহ চার আমলাকে যখন ডাকা হচ্ছে, তখন বোঝা উচিত, তথ্য হাতে না নিয়ে আমরা কিছু করছি না।” কিন্তু গোটা ঘটনার বিতর্কে সূত্রপাত কোথায়? জানা গেছে, এই মেট্রো ডিয়ারির 47 শতাংশ শেয়ার ছিল দুগ্ধ ফেডারেশনের হাতে। প্রক্রিয়া মেনে সেই 47 শতাংশ শেয়ার কেভেন্টার্সকে 85 কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়। আর এর কিছুদিনের মধ্যেই মেট্রো ডেয়ারির 15 শতাংশ শেয়ার 170 কোটি টাকায় একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ডকে বিক্রি করে দেয় কেভেন্টার্স। তবে যে দরে শেয়ার বিক্রি করেছে, রাজ্যের পক্ষ থেকে তা করলে 500 কোটি টাকা পাওয়া যেত, দাবি করে হাইকোর্ট একটি মামলা করেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আর তারপর থেকেই এই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। আর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রাজ্যের 4 আমলাকে তদন্ত ডেকে পাঠানোয় রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হল। জানা যায়, 2019 সালের 14 ই অক্টোবর মিল ফেডারেশনের ম্যানেজার তাপস কর, 15 অক্টোবর ফেডারেশনের তৎকালীন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবব্রত চক্রবর্তীকে ইডির পক্ষ থেকে ডেকে জেরা করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে 16 ই অক্টোবর পরশ দত্তকে এই ব্যাপারে নিজেদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এবার রাজ্যের চার শীর্ষকর্তাকে ডেকে পাঠানো হল। অনেকেরই আশঙ্কা, যদি তদন্তে বেগতিক কিছু উঠে আসে, তাহলে রাজ্য সরকারকে বড়সড় চাপের মুখে পড়তে হবে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!