মমতার পরামর্শ শুনে তাঁকে পাল্টা কোন পরামর্শ অধীর চৌধুরীর? জানলে চমকে যাবেন! কলকাতা রাজ্য July 21, 2019 ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই কার্যত নিজের রাজনৈতিক বিরোধীকে ‘ফ্রেম’ করে দেন তৃণমূল নেত্রী। আর তাঁর সেই দেখানো পথেই, তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে নিয়ে যান তাঁর রাজনৈতিক লড়াই। একসময় ছিল, যখন পালা করে প্রতি বছর তৃণমূল নেত্রী সিপিএমের মুণ্ডুপাত করেছেন। যদিও সেটাই স্বাভাবিক ছিল, কেননা তিনি বাংলা থেকে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টকে সরাতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু, বামফ্রন্টকে ধুয়ে মুছে সাফ করতে গিয়ে তিনি খেয়ালই করেননি, কখন বাংলায় বিরোধী পরিসরটা বিজেপি দখল করে নিয়েছে! যখন অনুভব করলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে, লোকসভা নির্বাচনে ৪২ টার মধ্যে ১৮ টা আসন ছিনিয়ে নিয়ে গেরুয়া শিবির তাঁর দলের ঘাড়ে কার্যত নিঃশ্বাস ফেলছে। এমনকি, বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য যে তৃণমূলকে হঠিয়ে নবান্নের তখতে বসা – তাও আজ স্পষ্ট। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে, আজ তৃণমূল নেত্রী বিরোধীদের নিয়ে কি বার্তা দেন সেদিকেই নজর ছিল সকলের। কেননা, এর আগে তিনি বিজেপি, কংগ্রেস, বামফ্রন্ট যে এক হয়ে গেছে তা বোঝাতে জগাই-মাধাই-বিদায় বলে কটাক্ষ করতেন। কিন্তু, সেই কটাক্ষের ফল তাঁকে হারে-হারে টের পেতে হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। নেতারা এক হতে না পারলেও, সম্মিলিত বিরোধী ভোট কার্যত এক হয়ে গেছে বিজেপির বাক্সে। যা ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আর তাই, এবার বিরোধীদের আক্রমনের ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে ভরিয়ে দিলেও, আক্রমনের বদলে ‘উপদেশ বার্তা’ গেল কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রতি। তিনি স্পষ্ট জানালেন, যে ডালে বসে আছেন সেই দল কাটবেন না! আমাদের সমর্থন করতে হবে না, কিন্তু বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। আর তাঁর এই ‘পরামর্শ’ এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, কংগ্রেসকে নিয়ে ভাবতে হবে না ওনাকে। কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের দলের নীতি-নৈতিকতা আছে। তাই কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবেই। কংগ্রেস ডাল কাটছে না, বরং দিদিভাই আপনিই গাছের গোড়া কেটে বসে আছেন। আপনি আপনার দল নিয়ে ভাবুন। কংগ্রেসকে নিয়ে ভেবে কালক্ষেপ করার দরকার নেই, ওটা আমাদের ভাবতে দিন। অবশ্য কংগ্রেসকে নিয়ে ওনাকে ভাবতে হবেই। কারণ কংগ্রেস ছাড়া বাঁচার পথ নেই মমতাদেবীর! আপনার মতামত জানান -