এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আমপান বিধ্বস্ত বাংলায় মমতা ব্যানার্জির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী!

আমপান বিধ্বস্ত বাংলায় মমতা ব্যানার্জির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী!


করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করার সময় হঠাৎ করেই রাজ্যে প্রবেশ ঘটে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপানের। যে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় কলকাতা, দুই 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিপূর্বেই এমন কোনো ঝড় হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না কেউ। নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে এই ঝড় দেখে রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে ভয়াবহ এই দূর্যোগ তাণ্ডব চালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখন প্রচুর সময় লাগছে প্রশাসনের। অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে জল পরিষেবা, এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আর এবার এই ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খামতি ছিল। কোনো পরিকল্পনা ছিল না। পশ্চিমবঙ্গের সরকার বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নেয়নি।” অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দুই লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে। আর একবার বলেছিলেন তিন লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন 5 লক্ষ লোককে সরানো হয়েছে।”

অধীরবাবুর অভিযোগ, “অন্যদিকে জাভেদ খান বলছেন এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরানো হয়েছে। কোথায় মানুষ নিরাপদে রয়েছেন! সাইক্লোন সেন্টার কোথায় রয়েছে! পশ্চিমবঙ্গের সরকার বিপর্যয় থেকে কোনো শিক্ষা নেয়নি! কেন এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার নেই!” তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এদিন একটি আবেদনও করেন লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেন কন্ট্রোল রুমে বসে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বিদ্যুৎ, পানীয় জল খাবার চাইছে।” তবে অতীতের আইলা কিংবা বুলবুল ঝড় দেখে যদি প্রশাসন কোনো শিক্ষা নিত, তাহলে এমন বিপর্যয় ঘটত না বলেও দাবি করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। অর্থাৎ এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনকে কটাক্ষ করা হলেও, এবার সেই একই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শোরগোল তুলে দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!