তৈরি নীল-নকশা – অধীর ‘বধ’ পাখির চোখ করে বড় পরিকল্পনায় শুভেন্দু অধিকারী মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য February 5, 2019 জেলা পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়েই মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিকে অনেকটাই দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছেন শাসকদলের মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেনতেন প্রকারেন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের একদা শাহেনশা বলে পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দুর্গে হাত শিবিরকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করে সেখানে ঘাসফুল ফোটানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর তার এই স্বপ্ন কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কিন্তু সামনেই যে লোকসভা নির্বাচন। আর দলের পর্যবেক্ষক’ হিসেবে তিনি যেমন গোটা রাজ্যে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, ঠিক তেমনি এই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিরোধীদের শূন্য করে দেওয়ার দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। কিন্তু দলকে কর্মসূচির মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে দলীয় কর্মীরা যে আবার শীতঘুমে চলে যাবেন তা বুঝতে পেরেই এবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় লাগাতার কর্মসূচি নিতে চলেছেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, শুক্রবার নদীয়ায় জেলা পরিষদের হলঘরে মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বৈঠকের পর আগামী 16 ফেব্রুয়ারি থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় দলের লাগাতার কর্মসূচি চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু বাবু। কিন্তু ঠিক কী কী কর্মসূচি দলের জেলা নেতাদের বেঁধে দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক? জানা গেছে,16 ফেব্রুয়ারি বহরমপুর শহরের রবীন্দ্রসদনে তিনটি ধাপে দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে সকাল 11 টা নাগাদ দলের জেলা সভাপতি সুব্রত সাহাকে আহ্বায়ক করে ব্লক, অঞ্চল সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব ও জেলা কমিটির নেতাদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করবেন তিনি। এরপর বেলা দুটোর সময় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে আহ্বায়ক করে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আরেকটি বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী। আর শেষে মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী, ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন ও বেলডাঙা পৌরসভার চেয়ারম্যান ভরত ঝাওয়ারকে যৌথভাবে দায়িত্ব দিয়ে আটটি পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন তিনি। তবে শুধু 16 ই ফেব্রুয়ারি নয়, আগামী 22 শে ফেব্রুয়ারি লালগোলা ও মুর্শিদাবাদের দুটি বুথে কর্মীসভা এবং 24 ফেব্রুয়ারি নবগ্রামে আদিবাসীদের নিয়ে একটি সম্মেলন করারও কথা রয়েছে শুভেন্দুবাবুর। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে নিয়ে এসে একদা কংগ্রেসের অধীর দুর্গ বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলায় সব কটি লোকসভা আসন এবার নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই তো এবার লোকসভার আগে দলকে জেলায় লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে বেঁধে রাখতে চান তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পর্যবেক্ষকের সাথে বৈঠকের পর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল নেতা মোশারফ হোসেন মন্ডল বলেন, “লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে জেলার মাটিতে সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত করছেন অধীরবাবু। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে আমরা তা দূরমুশ করে দেবো। আমরা ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ওয়ার্মআপ শুরু করেছি।” অন্যদিকে তৃণমূলের এই গেমপ্ল্যানকে পাত্তা দিতে নারাজ কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র মহফুজ আলম বলেন, “লোকসভা ভোটে ওরা অধীর চৌধুরীর সামান্য ক্ষতিও করতে পারবেন না। জেলাবাসী এখনও আমাদের সাথেই আছে। ওদের লম্ফঝম্পই সার হবে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে যেন-তেন প্রকারেণ রাজ্যের কংগ্রেস তথা বিরোধী দলগুলোর যেখানে শক্ত ঘাঁটি রয়েছে সেই জায়গাগুলো নিজেদের দখলে আনতে পরিকল্পনা চালাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই তো এবার কংগ্রেসের দখলে থাকা মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত কটি লোকসভা আসন নিজেদের হাতে রাখতে সেখানে কর্মসূচি শুরু করতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মুর্শিদাবাদ জেলার লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কে শেষ হাসি হাসি তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -