এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ত্রিফলায় বিদ্ধ করে অধীর-বধে ছক কষেছেন মমতা, “জমিদারি প্রথা” দেখে হেসে লুটোপুটি কংগ্রেস!

ত্রিফলায় বিদ্ধ করে অধীর-বধে ছক কষেছেন মমতা, “জমিদারি প্রথা” দেখে হেসে লুটোপুটি কংগ্রেস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সারা রাজ্যে ঘাসফুল শিবির ব্যাপক আধিপত্য চালালেও, মুর্শিদাবাদ, মালদার মত কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে চেষ্টা করেও প্রথমদিকে ঘাসফুল ফোটাতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদায় কিছুটা তিনি সফল হলেও, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি দুর্বল করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার সাংগঠনিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিন নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হলেন তিনি।

সূত্রের খবর, একসময় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অশোক দাস তৃণমূলে এসে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র হয়েছিলেন। আর এবার তাঁকে দেওয়া হল কো অর্ডিনেটরের। অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর শ্যালক অরিত মজুমদারকেও এই গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে আনা হয়েছে। অনেকে বলছেন, অধীর চৌধূরী কিভাবে ভোট পরিচালনা করেন, তার বাড়ির খুঁটিনাটি সমস্ত খবর এই অরিৎ মজুমদারের নখদর্পণে রয়েছে। তাই তাকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীরবাবু এবং কংগ্রেসের ঘুম ওড়াতে চাইছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে মান্নান হোসেনের পুত্র সৌমিক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে জেলা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার সেই সৌমিকবাবুকে আবার জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মুর্শিদাবাদ জেলায় ক্ষমতা যেমন খর্ব করা হল, ঠিক তেমনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সারথীকে দিয়ে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপি নয়, কংগ্রেস প্রধান ফ্যাক্টর। তাই তিন নেতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘুম কাড়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে নতুন দায়িত্ব পাওয়া অশোক দাস বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী কোনো ফ্যাক্টর নয়। জেলার দুটো লোকসভা আসন আমাদের দখলে। বহরমপুরে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এখন জেলার বিধানসভা আসন বিরোধীশূন্য করা।

অন্যদিকে সৌমিক হোসেন বলেন, “আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ওরা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। তাদের ভরসার যোগ্য মর্যাদা আমরা দেব।” একইভাবে এই ব্যাপারে অরিত মজুমদার বলেন, “শহর থেকে ব্লক নতুন করে সাজিয়ে তোলা হবে। সংগঠনে স্বচ্ছতাই আমাদের লক্ষ্য‌।” তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য তৃণমূলের এই রদবদলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “এখন দেখার এই জমিদারীটা তুলে দেয় কিনা তৃণমূল।” অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিপুল রদবদল করে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কোণঠাসা করার কথা বলা হলেও, গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ে কার্যত হাসতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বদের। তাদের দাবি, তৃণমূল এতসব করে কাজের কাজ কিছুই করতে পারবে না। এখন দেখার বিষয়, অধীর রঞ্জন চৌধুরীর শক্ত ঘাঁটিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই তিন নেতা ঘাসফুল ফোটাতে কতটা সক্ষম হন!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!