এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীরের বৈঠকে অনুপস্থিত হেভিওয়েটরা, চাপে প্রদেশ কংগ্রেস!

অধীরের বৈঠকে অনুপস্থিত হেভিওয়েটরা, চাপে প্রদেশ কংগ্রেস!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র। দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিনে সকাল বেলাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে দলকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ডাকে কংগ্রেসের বৈঠকে এই সমস্ত বিষয় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু অধীরবাবুর ডাকা বৈঠকে তেমনভাবে উপস্থিত থাকতেই দেখা গেল না হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের। মূলত, হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া সেভাবে উপস্থিত ছিলেন না কোনো হেভিওয়েট। যার জেরে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়া কংগ্রেস সংগঠনকে ঠিক রাখতে যতই চেষ্টা করুক না কেন, যেভাবে নেতা, নেত্রীরা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন, তাতে আগামী দিনে পথ চলা অত্যন্ত কঠিন বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য দপ্তর বিধান ভবনে একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু সেই বৈঠকে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তেমন হেভিওয়েটদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। মূলত, যাদের ছাড়া প্রদেশ কংগ্রেস অসম্পূর্ণ, সেই আব্দুল মান্নান থেকে শুরু করে প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, মনোজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে দেবপ্রসাদ রায়, দীপা দাশমুন্সি থেকে শুরু করে সন্তোষ পাঠকের মত অনেক হেভিওয়েট, এদিনের বৈঠকে ছিলেন না।

স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয় নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। উপস্থিত থাকার মধ্যে, মালদহের গনি পরিবারের সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের মত গুটি কয়েক নেতা-নেত্রী এদিনের বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত খারাপ ফলাফল করার কারণে নেতারা কিছুটা হলেও হতাশ? নাকি তারা অন্য চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস চললেও, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কার্যত শূন্য হয়ে গিয়েছে তারা। একটি প্রতিনিধিও রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়নি কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে অধীরবাবুর নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরে এবং বাইরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেদিক থেকে অধীরবাবু বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথম দলীয় বৈঠক ডাকলেও, সেই বৈঠকে যেভাবে প্রথম সারির নেতা, নেত্রীরা অনুপস্থিত থাকলেন, তাতে প্রদেশ সভাপতি হিসেবে অধীরবাবুর চাপ যে ক্রমশ বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে কৌশলী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। এদিন তিনি বলেন, “সব নেতা থাকলে কংগ্রেস তো কংগ্রেস থাকত না। এইরকমই হয় এখানে। বৈঠক ডেকেছিলাম, যারা পেরেছেন এসেছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর তারমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের যে নামগুলো অত্যন্ত খবরের শিরোনামে থাকে, সেই কট্টর কংগ্রেস নেতারা যেভাবে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন, তাতে আগামী দিন নিয়ে ভাবতে হবে কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

তবে অনেকে আবার বলছেন, ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধা থাকতেই পারে। সেই কারণে হয়তো এই সমস্ত নেতা নেত্রীরা উপস্থিত হননি। কিন্তু তারা যে দলের সাথে নেই, এমনটা ভাবা ভুল। তবে যে যাই বলুন না কেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর এত বড় বৈঠক ডেকেছিলেন প্রদেশ সভাপতি, কিন্তু সেখানে এক ঝাঁক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!