এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীরের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপি নেতা, জেনে নিন

অধীরের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপি নেতা, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীপাবলি মিটতে না মিটতেই পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে নেমে এসেছিল অন্ধকার। কারণ, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ একমাস যাবত রোগভোগের পর মারা গেলেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ যাত্রায় মিলে মিশে গিয়েছিল সমস্ত রাজনৈতিক রঙ। একদিকে যেমন দেখা গিয়েছিল প্রয়াত অভিনেতার শেষযাত্রার মিছিলে সর্বাগ্রে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেরকমই দেখা গিয়েছিল বামনেতা বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীদের, সাথে কংগ্রেস নেতারাও রয়েছেন। কিন্তু এই নিয়ে এবার শুরু হয়েছে রাজনীতি।

তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে কংগ্রেস প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী গুরুতর অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার বলে দাবী করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এবার এই একই সুরে অভিযোগ জানালেন একদা কংগ্রেস নেতা এবং পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদানকারী জয়প্রকাশ মজুমদার। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকেবিহ্বল গোটা বাংলা। তিনি শুধুমাত্র অভিনেতা ছিলেন না, তিনি একাধারে ছিলেন আবৃত্তিকার, কবি এবং সাহিত্যিক।

তিনি অসুস্থ থাকাকালীনই তাঁর নার্সিংহোমের সমস্ত চিকিৎসার খরচ তুলে নেয় রাজ্য সরকার এবং তাঁর মৃত্যুর পর হাসপাতালে পৌঁছন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর কন্যা পৌলোমী বসু রাজ্য সরকার এবং হাসপাতালের ডাক্তারদের ভূয়শী প্রশংসা করেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর গান স্যালুটের মাধ্যমে পূর্ণ মর্যাদায় শিল্পীকে চির বিদায় জানানো হয়। কিন্তু এবার বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রীতিমতো রাজনীতি করল। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, তৃণমূল বারবার অপমান করেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কিং লিয়ার নাটকটিও বন্ধ করে দিয়েছিল বর্তমান শাসকদল। আর এর কারণ হিসেবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বামপন্থী ভাবাদর্শ কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। একইসাথে ফিল্ম উৎসব কমিটিতেও তাঁকে অপমান করা হয়েছিল বলে দাবি করেন জয়প্রকাশ। এদিন তিনি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ডাকলেই তিনি তাঁবেদারী করবেন না একথা বুঝেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় রাজনীতির অনেক উর্ধ্বে বিচরণ করতেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কোনদিনই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আপোষের রাস্তায় যাননি।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যোগ্য সম্মান নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেও অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে কিন্তু এ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করা হয়নি। বরং এই মুহূর্তে সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে নিয়ে তাঁরা কোনরকম রাজনীতি চাননা বলেই জানিয়েছেন। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্মানে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে যেভাবে সমস্ত রাজনৈতিক দল একযোগে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই এবার তাঁর মৃত্যুর পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে কংগ্রেস, বিজেপি শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!