এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > অধীরকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে তৃণমূল-বিজেপির ঘুম একযোগে ওড়াতে আসরে নামছে বাম-কংগ্রেস?

অধীরকে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে তৃণমূল-বিজেপির ঘুম একযোগে ওড়াতে আসরে নামছে বাম-কংগ্রেস?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর বেশি সময় নেই। শারদোৎসব মিটলেই বাংলার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের শক্তি বাড়াতে তৎপর হয়েছে। তবে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট করে লড়াই হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুই দল সেই আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। তবে তারা যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যোগ করে, তাহলে তাদের মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের আনাচে-কানাচে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন।

অবশেষে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল দুই দলকেই। সূত্রের খবরহ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেই এবার ভোটে যাওয়ার বিষয়ে কার্যত একমত গোটা প্রদেশ কংগ্রেস। আর তাদের তরফ থেকে সেই নামটা আর অন্য কেউ নয়ড় অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অর্থাৎ অধীরবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে ঘোষণা করে বামেদের সঙ্গে জোটের মাধ্যমে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নামতে চাইছে হাত শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, 5 বছর আগে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের কথা হলেও সেই জোট অসম্পূর্ণ ছিল। কিন্তু এবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সকলে মিলে আসন ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই ঐকমত্যের ভিত্তিতে দুই দল তৃণমূল এবং বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এবার লড়াই করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেদিক থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে বিশ্বাসযোগ্য মুখকে হিসেবে পরিচিত অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।

অনেকে বলছেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী কট্টর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের দলনেতা। এছাড়াও রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। গোটা রাজ্যে বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার দিক থেকে একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে, এখন সেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে। আর তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে এগিয়ে যেতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের জোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ঋজু ঘোষাল বলেন, “এবার ওই রকম কোনো জোট হবে না। আমরা জোট চাই। কিন্তু সিপিএমকে মনে রাখতে হবে যে, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট হচ্ছে। কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট হচ্ছে। সিপিএম যদি ভাবে ওদের বিভিন্ন শরিকের মত কংগ্রেসও আরেকটা শরিক হবে, তাহলে খুব ভুল হয়ে যাবে। সিপিএমের থেকে আমরা দশমিক 25 শতাংশ ভোট কম পেয়েছি। মনে রাখতে হবে বামেদের এমন কোনো মুখ নেই, যাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তুলে ধরা যায়। কংগ্রেসের রয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী। লোকসভায় তিনি প্রধান বিরোধী পক্ষের নেতা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেক্ষেত্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরী একমাত্র মুখ‌‌। কংগ্রেস জোটের প্রধান শরিক এবং তারা 150 থেকে 160 টি আসনে লড়বে।”

সেক্ষেত্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যদি ভাবী মুখ্যমন্ত্রী মুখ হয়, তাহলে কি বামেদের পক্ষ থেকে তা মেনে নেওয়া হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “লিখিত সিদ্ধান্ত সেভাবে কিছু হয়নি। তবে দলের মধ্যে এই দাবিটা খুব জোরদারভাবে উঠেছে। দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি এবং রাজ্য স্তরের অধিকাংশ পদাধিকারী এটাই চাইছেন।” পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, সেদিক থেকে কোনো সন্দেহ নেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর তৃণমূল বিরোধিতা বা বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিংহভাগ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে মেনে নিলেও, বাম- কংগ্রেসের জোটের পর এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!