এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আদি-নব্যর লড়াইয়ে তৃনমূলের এবার নতুন অস্বস্তির নাম যুবশক্তি? বিধানসভার আগে উড়ছে ঘুম?

আদি-নব্যর লড়াইয়ে তৃনমূলের এবার নতুন অস্বস্তির নাম যুবশক্তি? বিধানসভার আগে উড়ছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের ভেতরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এই দুটি বাক্য এখন যেন কার্যত সমার্থক হয়ে দাড়িয়েছে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বিভিন্ন নির্বাচনে পরাজিত হচ্ছে দেখেও নেতারা নিজেদের শোধরাননি। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার বার্তা দেওয়া হয়েছে, আপনারা সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন। কিন্তু তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ বিভিন্ন জেলায় নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের আদি এবং নব্যদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব মেটাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোরের টিমের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়েই কারা জেলায় দ্বন্দ্ব এখনো জিইয়ে রেখেছেন তাঁদের সতর্ক করে দিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব কিন্তু তারপরেও অবস্থার কোন উন্নতি হতে দেখা যাচ্ছে না। আর এমত পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলকে আরও শক্তিশালী করতে “বাংলার যুবশক্তি” নামে নতুন একটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে স্বাভাবিক কর্মসূচি করতে গেলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, সেখানে কিভাবে এই নতুন কর্মসূচি সাফল্য পাবে, তা নিয়ে এবার দলের অন্দরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে “দিদিকে বলো” থেকে “বাংলার গর্ব মমতা” বিভিন্ন কর্মসূচি প্রশান্ত কিশোরের হস্তক্ষেপে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে নিয়ে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত দলের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু সেখানেও যে সমস্ত নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় অন্য অংশকে।যার ফলে কর্মসূচির বাস্তব ঘটনা তো দূর অস্ত, উল্টে সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সব থেকে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয় রাজ্যের শাসক শিবিরকে। তাই “বাংলার যুবশক্তি” নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নিজেদের অবস্থানের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করলেও, নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব যদি এখানেও শুরু হয়, তাহলে বিপাকে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতটাই চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে যে, এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বেশ কিছু জেলায় সাংগঠনিক পরিবর্তন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে সেদিক থেকেও কোন জেলায় কে দায়িত্বে আসবেন, তা নিয়ে একটা সংশয় রয়েছে সকলের মধ্যেই। একাংশ বলছেন, দল তখনই ভালো মতো কর্মসূচি করতে পারবে, যখন নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে তৃণমূল সবসময় বিজেপির বিরোধিতা করলেও, দলের ভেতরে যেভাবে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে যে কোনো পরিকল্পনা মুহূর্তের মধ্যে ভেস্তে যেতে পারে। যার ফলে আখেরে সুবিধে হতে পারে বিরোধীদের। তবে এখন যে সব থেকে বড় বিষয় নেতায়-নেতায় সমন্বয় করা, তা তৃনমূলের এক নেতার কথাতেই উঠে এসেছে।

এদিন এক তৃণমূল নেতা বলেন, “শুধু দায়িত্ব ভাগ সমন্বয় বাড়ানো যাবে না। সেক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব বেড়ে যাবে। ভোটের সংগঠনের একসঙ্গে সকলকে নিয়ে এগোতে না পারলে ক্ষতি হবে। সেই কারণে সমন্বয়ে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, অতীতেও তৃণমূলের জেলা নেতা থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতা, এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে সমন্বয় সাধন করার বার্তা দিয়েছেন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও নেতারা নেত্রীর বার্তা শোনার পর নিজের এলাকায় ফেরার সাথে সাথেই আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু করেছেন। ফলে বিপাকে পড়েছে দল। তাই এমতাবস্থায় আবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমন্বয় সাধন করার বার্তা দেওয়া হলেও, তা বৃথা সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করছে সমালোচক মহল।

তবে নিজেদের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে সকলেই চায়। তাই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে হলে এখন তৃণমূলকে নিজের ঘর সাজাতে হবে। ফলে দলের নতুন কর্মসূচি বাংলার যুবশক্তিকে সাফল্য দিতে এখন সমস্ত শাখা সংগঠন থেকে শুরু করে মাদার নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!