এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আদি তৃণমূলীরা ক্রমশ নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন! দলীয় বৈঠক-কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় দল?

আদি তৃণমূলীরা ক্রমশ নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন! দলীয় বৈঠক-কর্মসূচীতে অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় দল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন সংবাদ শিরোনামে। দীর্ঘদিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ মেটাতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং আসরে নেমেছেন। বিক্ষুব্ধদের তিনি নতুন জেলা ও ব্লক কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবং যথারীতি তা আবারও সামনে এলো বুধবার। আলিপুরদুয়ারে বুধবার মাদারিহাটে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা ছিল তৃণমূলের।

কিন্তু এই কর্মীসভায় দলের দুই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পঙ্কজ দাস, রঞ্জিত দত্ত প্রাক্তন ব্লক কার্যকারী সভাপতি মান্না জৈনসহ দলের অনেক নেতা ও কর্মীরা ব্যক্তিগত কাজ দেখিয়ে এই কর্মীসভা বয়কট করেছেন। যথারীতি এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা। অন্যদিকে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা প্রথম থেকেই দলের অন্দরে নিজের বিক্ষুব্ধ মতামত দিয়ে চলেছেন। জানা গেছে, এদিন যারা তৃণমূলের কর্মীসভা বয়কট করেছেন, তাঁদের অনেকেই মোহন শর্মার অনুগামী।

অবশ্য যারা এই কর্মীসভায় উপস্থিত হননি তাঁরা একযোগে জানিয়েছেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে দলের জেলা নেতৃত্ব আমন্ত্রণ না করার অভিযোগটি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। দলের নতুন ব্লক কমিটি সম্পর্কে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রাক্তন ব্লক কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন জানিয়েছেন, নতুন জেলা কমিটিকে দেখে মনে হচ্ছে, এটি একটি সর্বভারতীয় কমিটি। তাঁর মতে, বর্তমানে জেলা কমিটিতে যারা জায়গা পেয়েছেন তাঁরা কোনদিনও দলের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বুধবারের কর্মীসভা এই কারণেই বয়কট করেছেন অনেকে বলে জানানো হচ্ছে। কর্মীসভা বয়কট প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছেন, বুধবারের কর্মীসভায় আসার জন্য মাদারিহাট ব্লকের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্বেও সভায় অনেকেই আসেননি। কাজেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা কোনমতেই ঠিক নয়। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা ও ব্লক কমিটি তৈরি করার আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা করতে হবে।

সেই অনুযায়ী মাদারিহাট ব্লকে শুরু হলো নতুন ব্লক কমিটি হওয়ার পর প্রথম বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলার নতুন ব্লক কমিটি ঘিরে ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এ দিনের কর্মীসভায় দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে রাজনীতি না করে মানুষের অভিযোগ ও সমস্যার কথা সরাসরি শুনতে হবে।

রাজ্য সরকারের কি কি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে সবাই এবং কি কি পায়নি তাও দেখতে হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ যে জায়গায় যাচ্ছে, তাতে কিন্তু আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে জলপাইগুড়ির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূল শিবির যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে সে কথাও স্পষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!