এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের বি এল ও নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন, জেনে নিন

ফের বি এল ও নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন, জেনে নিন


নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিক পরিচয় পত্র অর্থাৎ সচিত্র ভোটার কার্ড নির্ভুল রাখার জন্য নতুন নাম সংযোজন করা হয়। যার জন্য পুরাতন নাম বিয়োজন করার জন্য প্রত্যেকটি বুথেই সরকারের তরফ থেকে বিএলও নিয়োগ করা থাকে। তাদের প্রধান কাজ, ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে যাবতীয় নির্বাচনী পরিচয়পত্রের কাজ সম্পন্ন করা। কিন্তু এখন বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, নিয়ম মত পাওয়া যাচ্ছে না বুথ লেভেল অফিসারদেরকে। তাই এবার যেন বুথে বুথে বুথ লেভেল অফিসাররা ঠিকঠাক পৌছে এবং নিজেদের দায়িত্বভার সঠিক রাস্তায় প্রতিপালন করে, সেজন্য জেলা সমাহর্তাদেরকে নির্দেশ দিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ধরনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তাই জেলাশাসকদেরকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বুথেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত 16 ডিসেম্বর থেকে আগামী 15 জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ প্রচার দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশন অফিসার এবং সিওর দপ্তর।

জানা যাচ্ছে, প্রচারের এই দিনগুলোতে সকাল 11 টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত প্রত্যেক বিএলওকে নিজের বুথে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে। এছাড়াও সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে নির্দিষ্ট দু’ঘণ্টা করে বুথে বসতে হবে তাদেরকে। তবে এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মোট 78 হাজার 799 টি বুথের মধ্যে সব বুথে বিএলওরা বসছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে।

আবার কোথাও কোথাও কর্তব্যে গাফিলতির কারণে ভোটারদের ভুল পথে পরিচালিত করার অভিযোগও উঠেছে বুথ লেভেলের অফিসারদের বিরুদ্ধে। তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা যেন নিজেদের কাজ সঠিকভাবে নির্বাহ করেন, সেই নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসককে। এমনকি আগামী দিনে আবেদনের ফর্মের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও বলা রয়েছে নির্বাচন কমিশনারের ওই নির্দেশনামায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সঠিক নাগরিকরা যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সেই জন্য নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করার লক্ষ্যে বছর বছর বুথে বুথে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচা করে সরকার। কিন্তু এই সংশোধনী ব্যবস্থা এবং সংযোজন-বিয়োজন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হল বুথ লেভেল অফিসার। সেক্ষেত্রে তাদের কাজের মধ্যে যদি গাফিলতি দেখতে পাওয়া যায়, তাদের অনুপস্থিতির কারণে যদি মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠে যাবে, সম্পূর্ণ নির্বাচনী তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে নিয়ে। তাই এবার কার্যত নির্বাচন কমিশন সরাসরি জেলা শাসকদেরকে নির্দেশ দিয়েছে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।

পাশাপাশি ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে রীতিমত আবেদন জানানো হচ্ছে কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রত্যেকের নাম ঠিকঠাক ভোটার তালিকায় আছে কিনা, সেই জিনিসও তদন্ত করতে আবেদন করা হয়েছে নির্বাচকমন্ডলীর কাছে। এক্ষেত্রে ডব্লিউবি স্পেস ইসি স্পেস এপিক নম্বর লিখে 51969 নম্বরে এসএমএস করলে ভোটারের এর যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সিইও ওয়েবসাইট এবং ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে যে কোনো ভোটার তালিকা তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।

কিন্তু এসব কিছুর পাশাপাশি বুথ লেভেল অফিসারদের দায়িত্ব ছিল এই সংক্রান্ত স্লিপগুলি প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেওয়া। বলাইবাহুল্য, অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ, অফিসাররা তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেননি। সেই কারণে অনেক সাধারণ মানুষের নাম সরকারের এত চেষ্টা সত্ত্বেও অসংশোধিত থেকে গেছে। তাই আগামী দিনে এরকম ভুলগুলোকে শুধরে নেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু আগামীদিনে জেলাশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বিএলওরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করবেন কিনা! সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!