এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আর কবে সিরিয়াস হব? করোনা আতঙ্কের মাঝেও সরকারি অফিসেই ধুমধাম করে মুখেভাত! প্রচুর জমায়েত!

আর কবে সিরিয়াস হব? করোনা আতঙ্কের মাঝেও সরকারি অফিসেই ধুমধাম করে মুখেভাত! প্রচুর জমায়েত!

চিকিৎসক থেকে প্রশাসন প্রত্যেকেই বলছেন, করোনাকে আটকাতে হলে নিজেদের সচেতনতা দরকার। আর এই সচেতনতার অঙ্গ হিসেবে অত্যাধিক জমায়েত না করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু এবার যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত খুঁজে পাওয়া গেল। যেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার এই কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই বনদপ্তরের অফিসে জমকালোভাবে বনকর্মীর মেয়ের মুখে ভাতের অনুষ্ঠান চলল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।

সূত্রের খবর, সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বনদপ্তরের অফিসের ভেতরে এক বনকর্মীর মেয়ের মুখে ভাতের অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষজনের জমায়েত ঘটে। আর করোনা আতঙ্কে যেখানে প্রশাসন রাজ্যকে লকডাউন করে দিয়েছে, সেখানে কেন এক প্রশাসনিক কর্তা হয়ে বনদপ্তরের আধিকারিক এই ঘটনা ঘটালেন! তা নিয়ে এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বনদপ্তরের রেঞ্জার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমি রায়গঞ্জে এসেছি। আমাদের এক কর্মী মেয়ের মুখের ভাতের অনুষ্ঠান ছিল। শুনেছি অফিসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্যান্ডেল করার পর আমি নিষেধ করেছিলাম, অনুষ্ঠান যেন না করা হয়। তা সত্ত্বেও এমন সংকটের সময় কিভাবে অনুষ্ঠান হল, তা ভেবে আমি হতবাক। রায়গঞ্জ থেকে ফিরে এই নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” কিন্তু জেলা পুলিশ, প্রশাসনের নাগালের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে গেলেও, কেন পুলিশকর্তারা ব্যবস্থা নিলেন না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “সরকারি দপ্তরে এমন অনুষ্ঠান কেউ কোনোভাবে করতে পারে না। আমাদের কাছে এই নিয়ে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন প্রশাসনিক আধিকারিক হয়ে একজন বনকর্মী কিভাবে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করলেন! যেখানে দিনকে দিন আতঙ্ক বাড়ছে এবং আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে একজন সরকারি কর্মী হয়ে মেয়ের অন্নপ্রাশন ও মুখেভাতটাই বড় বড় হয়ে দাঁড়ালো বনকর্মীর কাছে! এখনও পর্যন্ত সেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোনো আক্রান্তের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কিন্তু ভাইরাস যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এই আতঙ্কের দিনে একজন সরকারি আধিকারিক যেভাবে তার মেয়ের মুখেভাতে প্রচুর লোকের জমায়েত ঘটালেন তাতে যদি সেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকা কোনো ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস জন্ম নেয়, তাহলে তার দায় কি নেবেন বনদপ্তরের সেই আধিকারিক! অনেকে বলছেন, বেঁচে থাকলে অন্নপ্রাশন হবে, মুখে ভাত হবে। তবে এই কথাটা না বুঝে চিকিৎসক, প্রশাসনের কথা না শুনে যেভাবে আইনভঙ্গ করলেন সরকারি কর্মী, তাতে তার বিরুদ্ধে এখন প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!