এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার বড়সড় অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ খোদ তৃণমূল বিধায়ক, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

এবার বড়সড় অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ খোদ তৃণমূল বিধায়ক, চাঞ্চল্য রাজ্যে!

সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এতদিন সরকারের কাছে নানা অভিযোগ গিয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কার্যত নজিরবিহীনভাবে জল প্রকল্প গড়ে তোলার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লিখতে দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাতনের তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানকে। যে বিষয়ে কার্যত ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর রাজ্যজুড়ে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে দিদিকে বলো কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। একটি টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে তার ব্যাপক প্রচার করে সাধারণের তরফে নানা বিষয়ে অভিযোগ শোনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এমনকি সেই ব্যাপারে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা সমাধান করারও উদ্যোগ নেয় রাজ্যের শাসক দল। তবে শুধু দিদিকে বলোই নয়, সিএমওর দপ্তরেও প্রশাসনিক স্তরে খোলা হয় “গ্রিভান্স এন্ড রিড্রেসাল সেল।”

যেখানে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করে রাজ্যজুড়ে আসা অভিযোগের নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এই সেলেই এবার চিঠি দিতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানকে। জেলা গেছে, এখানে চিঠি দিয়ে নিজের বিধানসভা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে পালসন্দাপুরে জলাধার সহ একটি জল প্রকল্প গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু যেখানে তিনি খোদ শাসক দলের বিধায়ক, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে না বলে হঠাৎ এখানে কেন চিঠি পাঠাতে গেলেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি অনেকে বলছেন, যে জল প্রকল্প তৈরীর ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক এই চিঠি পাঠিয়েছেন, সেই তিনি তার জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনসাস্থ কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে বললেই পারতেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না কেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই তৃণমূল বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, “কাজটা যাতে তাড়াতাড়ি হয়। তার জন্যই চিঠি পাঠিয়েছি।” কিন্তু বিধায়কের এহেন আর্জি মেটানো কি সম্ভব হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের জনসাস্থ কারিগরি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “ওখানে জল প্রকল্প করা যায় কিনা, তা দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দেখতে বলেছি। নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

জানা গেছে, এই জলাধার তৈরি করতে থেকে 2 কোটি টাকা লাগতে পারে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলে যখন বিরোধীরা অভিযোগ জানায়, তখন সেখানে কোনো শাসকদলের বিধায়ক অভাবের কথা জানানোয় ব্যাপারটি নিয়ে যে বিরোধীরা কটাক্ষ করবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, “যে রাজ্যে কাজের জন্য বিধায়ককে গ্রিভান্স সেলে যেতে হয়, সেখানে উন্নয়নের কি দশা, তা মানুষ টের পাচ্ছেন।” সব মিলিয়ে এবার প্রশাসনিক স্তরে খোদ তৃণমূল বিধায়ক একটি প্রকল্পের ব্যাপারে আবদারের কথা জানানোয় নানা মহলে তীব্র শোরগোল সৃষ্টি হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!