এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > চাকরি > দীপাবলির আগেই বড়সড় খুশির খবর এই সরকারি কর্মীদরে জন্য

দীপাবলির আগেই বড়সড় খুশির খবর এই সরকারি কর্মীদরে জন্য


সম্প্রতি আর্থিক অনটনের জন্য বিএসএনএল টেলিকম সংস্থায় তালা পড়ার উপক্রম হয়েছিল। অর্থনৈতিক মন্দার প্রাক্কালে এসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে এই সংস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। মূলত, বাজারে বেসরকারি টেলিকম সংস্থার প্রতিদিন নিত্যনতুন চমক থাকছে। সে জায়গায় সরকারি টেলিকম সংস্থার বিএসএনএল গ্রাহকদের জন্য কোনো চমক রাখতে পারছে না।

উপরন্তু এর ব্যয়ভার সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। ফলে, বিএসএনএল এর কর্মীরা বেতন সমস্যায় জেরবার হয়ে পড়েন। তবে এবার দীপাবলীর আগেই বিএসএনএল কর্মীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো সংস্থা। দীর্ঘদিনের বেতন সমস্যা ছিল বিএসএনএলের কর্মীদের। নানান আবেদন-নিবেদন, অনুরোধ-উপরোধেও তাঁদের বেতন সমস্যা মিটছিল না। তারপরই তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দেন। আর তারপরেই বিএসএনএল এর তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, কর্মীদের বেতন সমস্যা মিটে যাবে।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে মোট 1 লক্ষ 78 হাজার কর্মীর বেতন সমস্যা এবার মিটতে চলেছে। বিএসএনএল-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিকে পুরওয়ার সাংবাধ্যমকে জানান, কর্মীদের বেতন দিওয়ালির আগেই দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি একরূ জানান, বিএসএনএল পরিষেবার জন্য গত কয়েক দিনে 1,600 কোটি টাকা আয় হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেতন বাবদ প্রতি মাসে বিএসএনএলের খরচ হয় সাড়ে আটশ কোটি টাকা। তবে সূত্রের খবর, 1,600 কোটি টাকা আয় হলেও এই টাকার বেশিরভাগ বেশকিছু দায় মেটাতে এবং কাজ চালাতে খরচ হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বিএসএনএল সরকারি গ্যারান্টিতে ব্যাংকের কাছে টাকা নিচ্ছে। যার বেশ কিছুটা তারা এবার পাবে। এর সাথে ভেন্ডারদের পাওনাও মেটাতে হবে। জানা গেছে, গত অর্থবর্ষে অর্থাৎ 2019 সালে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে বিএসএনএলের ক্ষতি হয়েছে 13 হাজার 850 কোটি টাকা। বিএসএনএল এবার চাইছে ফোর-জি স্পেক্ট্রাম চালু করতে এবং স্বেচ্ছা অবসরের মাধ্যমে কর্মী ছাঁটাই করে আর্থিক দায় কমাতে।

মনে করা হচ্ছে, এই দুটি পদক্ষেপ যদি নেওয়া হয় তাহলে বিএসএনএলের বর্তমান অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি আসবে। এ বিষয়ে পিকে পুরওয়ার জানিয়েছেন, পদক্ষেপ দুটি নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে। যদিও সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় এই দুটি পদক্ষেপের কথাই বলা আছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং পিএমও-এর তরফ থেকে 50 হাজার কোটি টাকা মূলধনের যোগান দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিএসএনএল ও এমটিএনএল সরকারি সংস্থা দুটি এবার অক্সিজেন পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে পূর্বেই জানানো হয়েছিল বিএসএনএল ও এমটিএনএল নিয়ে সরকারী চিন্তা-ভাবনা চলছে। খুব শীঘ্রই এই দুই সংস্থার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন সরকারের তরফে 50 হাজার কোটি টাকা মূলধন এর যোগানের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ যথেষ্টই খুশি। কর্মীজগতেও খুশীর আবহ বেতন সমস‍্যা মিটে যাওয়ার। এই ঘটনায় আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!