বাড়ছে পুলিশের অন্দরে তীব্র ক্ষোভ! সামাল দিতে সাসপেন্ড-মামলা-রদবদলের ত্রিফলা ব্যবস্থা! কলকাতা রাজ্য May 31, 2020 যত দিন যাচ্ছে, ততই রাজ্যের পুলিশের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের এএফ ব্লকে কলকাতার সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানের দপ্তর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। যেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে। একইভাবে এই ঘটনার কিছুদিন আগে গড়ফা থানার কিছু পুলিশকর্মী করোনার কারণে নিজেদের থানাতে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ। আর একের পর এক পুলিশকর্মীদের এই অসন্তোষ প্রকাশ এখন রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে। তবে পুলিশকর্মীদের এই আচরণকে বাগে আনতে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। এক্ষেত্রে সাসপেন্ড, মামলা এবং রদবদলের ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে শুরু করল রাজ্য। আর এই ত্রিফলা ব্যবস্থার মাধ্যমেই পুলিশকর্মীদের বাগে আনতে চাইছে তারা। সূত্রের খবর, বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানের এক ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর সহ 5 জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাটেলিয়ান থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক এবং ব্যাটেলিয়ানের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশকিছু পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এতেই রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। অনেকে বলছেন, পুলিশের অন্দরে এই বিক্ষোভকে সামাল দিতে সরকারের পক্ষ থেকে একদিকে রদবদল, একদিকে মামলা এবং অন্যদিকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুলিশের ক্ষোভকে প্রশমিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু কোন কোন পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে? জানা গেছে, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষকে চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের অষ্টম ব্যাটেলিয়ানের দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত নাথকে দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ান দেখভালের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিসি স্পেশাল সুদীপ সরকারকে। ফলে নরমে-গরমে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই পুলিশদের বিক্ষোভকে বাগে আনতে চাইছে সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। শনিবার একটি টুইটে তিনি বলেন, “আমি খুবই চিন্তিত। প্রথমে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুল, তারপরে গড়ফা ক্থানা এবং সর্বশেষ বিধাননগরে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়ানের ঘটনা স্তম্ভিত করেছে্ উর্দিধারীদের এই ধরনের আচরণ খুবই চিন্তাজনক। সার্বিকভাবে ওদের ক্ষোভ প্রশমন করার জন্য এখনই যথাযথ ন্যায্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।” সব মিলিয়ে এখন মামলা, রদবদল এবং সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুলিশের এই ক্ষোভকে কতটা সামাল দেওয়া যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -