এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বিদেশ থেকে চীনারা দেশে ফিরতেই নতুন করে শুরু কারণে সংক্ৰমণ! বাড়ছে আতঙ্ক

বিদেশ থেকে চীনারা দেশে ফিরতেই নতুন করে শুরু কারণে সংক্ৰমণ! বাড়ছে আতঙ্ক

করোনা ভাইরাস এই প্রথম উৎপত্তি হয়েছিল চীন দেশের ইউহান প্রদেশে। ক্রমশ ইউহান প্রদেশ ছাড়িয়ে গোটা চীন দেশে করোনা মহামারীর আকার ধারণ করে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়। এরপর এই মারণ ভাইরাস ক্রমশঃ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হানা দেয়। এখনও বিশ্বের লাখ লাখ লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং অনেকেরই প্রাণ যাচ্ছে। শুরুতে অনেক জায়গাতেই দাবি করা হয়েছিল, চীন ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন একটি ভাইরাসের আবিষ্কার করেছিল, দিনক্রমে যে ভাইরাস মারণ আকার ধারণ করেছে।

কিছুদিন আগেই অবশ্য খবর পাওয়া যাচ্ছিল, চিন এই ভাইরাস এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে চীনের পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আবারও দুঃসংবাদ চীনের জন্য। সূত্রের খবর, নতুন করে চিনে আবার করোনা ভাইরাস হাজির হয়েছে। তবে চীনা সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে করোনা সংক্রমণ সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যাঁদের মধ্যে, তাঁদের অধিকাংশ এসেছে বিদেশ থেকে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত চীনের বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।

কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চীনা নাগরিকদের ফেরাতেই ঘটে বিপত্তি। জানা যাচ্ছে, এই ফেরত নাগরিকদের মধ‍্যে প্রায় 951 জনের শরীরে করোনা পজিটিভ মিলেছে। আবার এতদিন যারা শুধুমাত্র টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ কিন্তু করোনার কোনো লক্ষণ না থাকার দরুণ হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, তাঁরাও অসুস্হ হয়ে পড়ছেন নতুন করে। গত রবিবার এরকম 78 জনের শরীরে করোনা পজিটিভ এর লক্ষণ দেখা গেছে। যাদের মধ্যে আবার 40 জন আগে বিদেশ ভ্রমণ করে এসেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেজিং সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত চিনে 1047 জন অ্যাসিম্পটমেটিক রোগীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আরও খবর পাওয়া গেছে যে, চীন-রাশিয়ার সীমান্তে থাকা সুইফেনহি শহরের কুড়ি জন চীনা নাগরিকের শরীরে মিলেছে করোনা পজিটিভ এর লক্ষণ। যদিও তাঁরা বিদেশ থেকে এসেছে বলে জানা গেছে। রবিবার চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা সংক্রমণের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এখনো পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা 3331 জন। রবিবার পর্যন্ত চিনে আক্রান্ত হয়েছেন 81708 জন। যার মধ্যে অবশ্য 77078 জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।

অতএব চিকিৎসা চলছে 1299 জনের। সুতরাং বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রাথমিকভাবে যেকোনো জায়গা থেকে করোনা ভাইরাস সম্পূর্ন দূরীভূত হয়েছে বলে ভেবে নেবার কারণ নেই। কারণ যেকোন মুহূর্তে করোনা আবার বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে। যে ঘটনার উদাহরণ হিসেবে চীনের নাম করাই যায়। অন্যদিকে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে চার হাজার ছাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চূড়ান্ত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের বরাবরের আবেদন- আতঙ্কে নয়, সতর্ক থাকুন। একমাত্র সতর্কতা ও সচেতনতাই আমাদের মুক্তি দেবে করোনার হাত থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!