এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবারো বড়সড় দুর্নীতিতে নাম জড়ালো প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! দলের মধ্যেই উঠল শাস্তির দাবী!

আবারো বড়সড় দুর্নীতিতে নাম জড়ালো প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার! দলের মধ্যেই উঠল শাস্তির দাবী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভয়াবহ দুর্যোগের পর প্রচুর বাড়িঘরের যেমন ক্ষতি হয়েছে, ঠিক তেমনই প্রচুর বৃক্ষ ধ্বংস হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন সারা রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিড়ম্বনা দিনকে দিন বাড়িয়েই যাচ্ছেন পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত কুমার সামন্ত। ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে ছিল।

আর এবার প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ভয়াবহ দুর্যোগের পর বৃক্ষরোপনে জোর দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই তৃণমূল নেতার বৃক্ষ ছেদন করা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, কামিনাচক দক্ষিণ বুথের মোরাম রাস্তার ধারে থাকা সোনাঝুরি গাছ এলাকার এক ব্যক্তি কাটছিলেন।

আর তখনই গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি কেন এই গাছ কাটছেন! তখন সেই ব্যক্তি বলেন যে, রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত সামন্ত তাকে এই গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। আর এরপরই তিনি চারটি অনুদানের রসিদ দেখান। যেখানে দেখা যায় যে, রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চারজন ব্যক্তি আলাদা আলাদা করে 40 হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। যেখানে স্বাক্ষর করা আছে অজিত সামন্তের।

আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। কেন এভাবে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে তৃণমূল নেতা গাছ কাটছেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বনদপ্তরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এভাবে কি আদৌ গাছ কাটা উচিত? প্রশাসনের কাছে কি অনুমতি নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা?

এদিন এই প্রসঙ্গে বনদপ্তরের পাঁশকুড়া রেঞ্জ অফিসের এক আধিকারিক বলেন, “কোনো গাছ কাটতে গেলে বনদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট জায়গা যে দপ্তরের অধীনে, সেই দপ্তরের নির্দিষ্ট অনুমতি প্রয়োজন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী 15 জুন থেকে 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষার কারণে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না। রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন। ওই জায়গায় বনদপ্তর গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেয়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে তিনি কেন গাছ কাটলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত সামন্ত বলেন, “ওই গাছগুলো আমপান ঝড়ের সময় ভেঙে গিয়েছিল। ওই এলাকায় রাস্তা সংস্কারের জন্য শুধুমাত্র ভাঙ্গা গাছগুলো কাটা হয়েছে। এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে।” যদিও বা প্রধান ভিত্তিহীন কথা বলছেন।

এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইয়ের সদস্যা সোনালী অধিকারী আচার্য। আর এই গোটা ঘটনাতে এখন সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল দুর্নীতিকে আটকাতে এখন নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

কিন্তু রঘুনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজিত সামন্ত প্রথম থেকেই যেভাবে এরকম কাজ করে চলেছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তো শাসক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, “যদি অজিত সামন্ত অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটে থাকে, তাহলে বনদপ্তর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এতে আমাদের কি বলার আছে!” এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল দুর্নীতিকে বরদাস্ত করবে না বললেও, রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে তারা কোনো অভিযোগ গ্রহণ করে কিনা! পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেও নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!