এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আবার ভোট – আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার বাণে বিদ্ধ মোদী-শাহরা

আবার ভোট – আবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার বাণে বিদ্ধ মোদী-শাহরা


“ভোট বড় বালাই।” প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময় জনগণের মন জয় করতে নানা চমকপ্রদ ঘোষণা করতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। বিশেষত নানা ঘোষণার ভান্ডার নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হতে দেখা যায় শাসক শিবিরকেই। কিন্তু দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল মানুষের বিভিন্ন চাহিদা নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের আগে দেশের ভাবাবেগ এবং সেনাদের নিয়ে বিজেপি সুবিধাবাদী রাজনীতি করে বলে এর আগে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসকে।

আর এবার মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই একই অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়ে এল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। বস্তুত, একুশে অক্টোবর মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার ঠিক আগের দিনই কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে পাক সেনার গুলির লড়াইয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

যেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ছয় থেকে দশ জন পাকসেনার। আর এই ঘটনার পরই ভোটের সময় বিজেপির তরফে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয় বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি ভারতীয় সেনা গুড়িয়ে দিলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই খুশি হয়েছিল। তখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আসলে ভোটে জয়লাভ করতেই নির্বাচনের গিমিক হিসেবে সেনাদের ব্যবহার করে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছে বিজেপি।

আর এবার নিজেদের বক্তব্য থেকে বিন্দুমাত্র সরে না এসে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগের দিন কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে পাকসেনার গুলির লড়াই এবং কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি ভারতীয় সেনা গুঁড়িয়ে দেওয়ায় ভোটের আগেই সুযোগ বুঝে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা অখিলেশ সিং।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি কংগ্রেসের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলেও হাত শিবিরের এত সোচ্চার হয়ে লাভ নেই। কেননা ভারতবর্ষের মানুষ সেনাদের জয় দেখতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে। তাই সেক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি এই অভিযোগ তোলেও, তাহলে আখেরে বিজেপির অসুবিধা নয়, বরঞ্চ কংগ্রেসের ক্ষেত্রেই দেশদ্রোহীতার তকমা লেগে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মত সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!