প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2020 এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় করোনার প্রাদুর্ভাব। একজন দুজন থেকে শুরু হয়ে লাখ লাখ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়। বিনা ওষুধ, বিনা প্রতিষেধকে লড়াই চালিয়ে প্রচুর রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। করোনা নিয়ে আতঙ্ক চতুর্গুণ হয়ে ছড়িয়েছে সারাদেশে। তবে বর্তমানে সংক্রমণের পরিমাণ সুস্থতার তুলনায় কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে নিশ্চিন্ত হবার কোন কারণ নেই। পরিস্থিতি এখনও যে খুব একটা আশাব্যঞ্জক, তা কিন্তু নয়।

কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনে সতর্ক না হলে উৎসবের মরসুমে এবং শীতকালে প্রবল ভাবে বেড়ে উঠবে করোনা সংক্রমণ। সামনেই শীতকাল এবং শীতকালে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হওয়া খুব স্বাভাবিক। সুতরাং, আগামী দু-তিন মাস সময় করোনা সংক্রমণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার নীতি আয়োগ এর স্বাস্থ্য সদস্য ডক্টর বিনোদ পাল জানিয়েছেন, আগামী দু-তিন মাস খুব সাবধানে থাকতে হবে, যাতে করোনা সংক্রমণ নতুন করে না শুরু হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শীতকালে খুব স্বাভাবিকভাবেই শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে মানুষ। তার মধ্যে যদি করোনা হয়, তাহলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা আরো বাড়বে। অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সামনের দিনে। এ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন- বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মাস্কের ব্যবহারে করণা সংক্রমণ 36 থেকে 50% পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বর্ষার শুরুতেই করনা থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছিল। না হলে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা জানানো হয়েছিল।

হিসেব কিন্তু ইতিমধ্যেই মিলে গেছে সে কথা সবার জানা। জুলাই মাস থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। দেশজুড়ে এবার আরো একবার সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সংক্রমণ আটকাতে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সবথেকে বেশি। অন্যদিকে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে দেশ। আগামী বেশ কয়েক মাসের মধ্যে সমস্ত পরীক্ষা সম্পন্ন করে দেশবাসীর হাতে উঠে আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত সেদিকে তাকিয়েই করোনাকে আটকাতে ন্যূনতম সাবধানতা অবলম্বনের দিকেই জোর দিতে হবে সবাইকে বলে মত বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের।