এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন, এবার কলকাতায় তাবু ফেলছেন স্বয়ং অমিত শাহ!

লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন, এবার কলকাতায় তাবু ফেলছেন স্বয়ং অমিত শাহ!

2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকেই আপাতত পাখির চোখ করেছে বিজেপি শিবির। সেহেতু ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে দলের অন্দরে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক জমি অনেকটাই শক্ত করেছে বিজেপি। এবার লড়াই সেই মাটি আঁকড়ে থাকার। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে পৌরসভা নির্বাচনের হাওয়া। আর সেই হাওয়াকেই পালে টানতে পদ্ম শিবির ইতিমধ্যে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে খবর। খুব স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের পুরনির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলোর কাছে। সেই লক্ষ্যে এগোতে এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে।

যার মধ্যে চাঞ্চল্যকর খবর হলো, এ বছরের শেষের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের বুকে ঘাঁটি গাড়তে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। সূত্রের খবর, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিজেপি দলকে চাঙ্গা করতে এবার সরাসরি বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চে অবতরণ করতে চলেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবছরের দুর্গাপুজোর পর থেকে কলকাতাতেই থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাও একইভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতায় রাত্রিবাস করবেন বলে খবর। ইতিমধ্যে এই দুই হেভিওয়েট নেতার বসবাস করার জন্য হন্যে হয়ে কলকাতায় বাড়ি খোঁজা শুরু করেছে পদ্ম শিবির।জানা গেছে,  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপি শিবির যাতে একচুলও লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়, তার জন্য এবার লড়াইতে নামছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এব্যাপারে রবিবার রাতেই কলকাতায় একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় বিজেপি শিবিরের। ওই শিবিরেই প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ছক কষেন বিজেপির দুই মহারথী বলে খবর।

সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব আইন পাস হলেও তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন এই মুহূর্তে তৈরি হয়নি। তবে এবার সেক্ষেত্রে নজর দেবে কেন্দ্রীয় মহল। জানা গেছে, আর কয়েক মাসের মধ্যেই নাগরিকত্বর কাগজপত্র তৈরি হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট বিধানসভা হচ্ছে 122 টি। যার মধ্যে বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণ করে উদ্বাস্তু এবং শরণার্থীরা। সুতরাং নাগরিকত্ব ইস্যু যদি লাগু হয় তাহলে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন সিএএ কার্যকর হলে ভিটেহারা মানুষরা সুবিধা পাবেন আর এই সুবিধার ফল ভোগ করবে বিজেপি শিবির, যা দেখতে পাওয়া যাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উড়িষ্যা সফরে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেওয়ার ফলে এই রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দল দাবি করতে থাকে, বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে গোপন আঁতাতের। এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন জানিয়েছেন, ‘দেশদ্রোহী-গণতন্ত্রকে হত্যাকারী একটি দলের সঙ্গে এক চুলও আপসের জায়গা নেই। বিজেপির কাছে দেশ আগে, পরে ক্ষমতা।’ এব্যাপারে তিনি জেলার নেতাদের কাছে বার্তা দিয়েছেন এই বলে, ‘যে কোনও মূল্যে আমরা বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চাই। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে আমরা পূর্ণ করবই। তারপরও কারও মনে ‘সেটিং’ সংক্রান্ত কোনও দ্বিধা থাকলে আজই ঝেড়ে ফেলুন। ২০২১ আমরা তৃণমূলকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসব।’

তবে এদিন অমিত শাহের কাছে বিজেপির জেলা নেতারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকায় এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে না বরং সেই টাকা তৃণমূল নেতারা পকেটস্থ করছেন। এ ব্যাপারে জেলার এক নেতা অমিত শাহের কাছে আর্জি জানান, ‘আপনি দিল্লির পাঠানো টাকা বন্ধ করে দিন। তাহলে এই দুর্নীতি পরায়ণ নেতারা জব্দ হবে।’ কিন্তু অমিত শাহ এই পরামর্শকে মোটেই গুরুত্ব দিতে রাজি হননা। তিনি পাল্টা বলেন, ‘বাংলার প্রতি কোনও বঞ্চনা করবে না মোদি সরকার। বরং রাজ্যের উন্নয়নে আরও বেশি করে টাকা দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাপের দায় কেন রাজ্যবাসী নেবেন?’ তবে তৃণমূলের দুর্নীতির কথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের- তাঁরা যেন তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে প্রবল ভাবে প্রচার শুরু করে রাজ্যবাসীর কাছে।

এ ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করা হবে রাজ্যের নেতাদের বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে, জেলা বিজেপি শাসকদলের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে সরব হয়। তবে এদিন অমিত শাহ এইসব অভিযোগকে থামিয়ে দিয়ে বলেন মিথ্যা মামলা এবং পুলিশি জুলুমের জন্যই রাজ্যবাসীর কাছে বিজেপি অনেক বেশি সমর্থন পাচ্ছে। তবে এদিন আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়েও বিজেপির আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধারীদের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য টিকিট দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি যে রাজনৈতিক অঙ্গনের হবে তার কোনো স্থিরতা নেই।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনকে পুরোপুরি ফাইনাল ম্যাচ ধরেছে বিজেপি শিবির। তবে তার আগে পুরসভার নির্বাচন হওয়ায় এটিকে সেমিফাইনাল ধরে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইতে নামছে বিজেপি শিবির। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে যদি কলকাতাকে পুরসভা ভোটে ধাক্কা দেওয়া যায়, তাহলে অবশ্যম্ভাবী তার প্রভাব পড়বে রাজ্যব্যাপী। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের পুরসভার নির্বাচন রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ, সামনে বিধানসভা নির্বাচন- তার আগে প্রত্যেকটি দল নিজেদের সংগঠনকে মেপে নেওয়ার কাজে নেমেছে। আপাতত আগামী দিনের পরিস্থিতি কি হতে চলেছে সেদিকে নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!