এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঐতিহাসিক মহাসভা নাকি একুশ জনের পথসভা? একুশের মহাযুদ্ধের আগে শেষ একুশে জুলাই কোন ইঙ্গিত দিল?

ঐতিহাসিক মহাসভা নাকি একুশ জনের পথসভা? একুশের মহাযুদ্ধের আগে শেষ একুশে জুলাই কোন ইঙ্গিত দিল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই ক্রমশ জোরদার হচ্ছে এবং একুশে জুলাইকে ঘিরে সেই লড়াই আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবছর তৃণমূলের পক্ষ থেকে একুশে জুলাই ধর্মতলা থেকে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ লক্ষ জনগণের সামনে বিরোধীদের উদ্দেশ্য ছুঁড়ে দেন বাছাই করা মন্তব্য। তার সাথেই আগামী দিনের পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি পাল্টেছে। করোনার কারণে ধর্মতলা ত্যাগ করে এবার ভার্চুয়ালি রাস্তাকেই বেছে নিতে হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে।

অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে একুশে জুলাই নিয়ে চলছে কটাক্ষ, ব্যঙ্গোক্তি। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একুশের সভার আগেই বলে দিয়েছিলেন, এ বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শেষ একুশে জুলাই উদযাপন। আর এবার একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে একুশে জুলাই এর সভাতে একুশ জনও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেনা।

তৃণমূল সুপ্রীমোকে জনসভা নয়, পথসভা করার নিদান দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিলেন, আর কিছুদিন পরেই রাজ্যের মসনদে বসতে চলেছে বিজেপি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই পরবর্তী লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই তাঁরা ভার্চুয়ালি নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের ভার্চুয়ালি সভা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী সেসময় কটাক্ষ করলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একুশে জুলাই ফলপ্রসূ করতে সেই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নিলেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একুশে জুলাই এর ভার্চুয়ালি মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী কার্যত গেরুয়া শিবিরের দিকেই নিশানা তাক করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার সাথে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিচ্ছবি তাঁর মন্তব্যে আজ উঠে এসেছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরও পিছিয়ে নেই। একুশের প্রতিক্রিয়াতে রাজ্য বিজেপির প্রায় প্রত্যেকেই আগামী বিধানসভার কথা মাথায় রেখে মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার গলাতেও পাওয়া গেল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুর।

এদিন রাহুল সিনহাও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভার্চুয়ালি সভা নিয়ে খোঁচা দিলেন। তাঁর কথায় ভার্চুয়ালি সভা করলেও সেরকম শ্রোতা পাওয়া যায়নি। তাই ধর্মতলায় জনসভা করলে যে কি হতো, সে কথা না বলাই ভালো। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন আবার। অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের জন্য ফ্রী রেশনের কথা বলেছেন। আর সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সন্দেহ রাখছেন ফিরে আসা নিয়ে। তাই ফ্রী রেশনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি।

রাজ্যে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে বিজেপির হাত ধরে আগামী দিনে সে ব্যাপারে নিশ্চিত দিলীপ ঘোষ। আর তাই তার গলায় আবারও পুরনো স্লোগান, ‘ঊনিশে হাফ হয়েছে, একুশে সাফ হবে।’ মোদ্দাকথা, একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস হিসেবে পালন হলেও প্রকারান্তরে তা 2021 এর রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রতিলিপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই যে এবার সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে সেকথাও একবাক্যে মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। আপাতত দেখার, এবারের পরিবর্তিত একুশে জুলাই আগামীদিনের বাংলার রাজনীতিতে নতুন পরিবর্তন আনে কিনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!