এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামী ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ভোট? জেনে নিন

আগামী ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার ভোট? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা পুরসভাগসহ রাজ্যের পুরভোট নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এই নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক শিবিরের বিতর্কও চলছে পুরোদমে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল রাজ্যে। কিন্তু করোনার কারণে সেই নির্বাচন পিছিয়ে গেছে। পুরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সে জায়গায় বসে গেছে পুর প্রশাসক। এই অবস্থায় পুরসভার নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরদকুমার সিং। সেই মামলার রায়ে 17 ই ডিসেম্বর রাজ্যকে পুরসভার ভোটের নির্ঘণ্ট জানানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন করা যেতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ বাকি 110 টি পুরসভার নির্বাচন করা সম্ভব নয় সে কথা স্পষ্ট। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছিল, যদি কোন রকম সিদ্ধান্ত রাজ্য না নিতে পারে তাহলে কোর্টের প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হবে পুর বোর্ডের মাথায়। আর সেই ঝুঁকি এড়াতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার আলোচনা শেষে একটি মধ্যপন্থা নিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষকর্তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা ব্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে শুধুমাত্র কলকাতার পৌরসভার নির্বাচন করার। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করা যাবেনা। অন্যদিকে সুপ্রিমকোর্টের পুরসভা নির্বাচন নিয়ে প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পর আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ রাজ্য সরকার নিজের হাতে সময় রাখবে।

কিন্তু জেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাকি পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে কোন রকম সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার নিতে পারছে না। অন্যদিকে কলকাতা শহরের পুরভোট হওয়া নিয়ে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সহ অধিকাংশ বিদায়ী কাউন্সিল ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই সমস্ত কাউন্সিলররা কলকাতা পুরসভা জেতার ব্যাপারে 100% আত্মবিশ্বাসী। অন্যদিকে কলকাতার অধিকাংশ বিধায়ক ও ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোর কিন্তু বিধানসভার আগে পুরভোট চাইছেন না বলে জানা গিয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারির ঠেলায় শীর্ষ আদালতের কাছে এবার মধ্যপন্থা নিয়ে হাজির হতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মনে করা হচ্ছে, এতে একদিকে যেমন বিধানসভা ভোটের আগে চলতি প্রকল্পগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসক মন্ডলী সময় পাবে। অন্যদিকে সেরকম কোর্টের প্রশাসক এসে নজরদারি করতে পারবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মধ্যপন্থাকে কিভাবে গ্রহণ করবে, তা নিয়ে কিন্তু পুরসভার প্রশাসক মন্ডলী যথেষ্ট সংশয় পোষণ করছেন। তবে সূত্রের খবর, নিতান্তই যদি রাজ্যের প্রস্তাব না মানে শীর্ষ আদালত তখন রাজ্য সরকার নিজেদের স্পেশাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট অফিসার নবান্ন থেকে বসিয়ে দেবে পুরসভার মাথায়। বর্তমানে রাজ্যের 110 টি পুরসভার নির্বাচন করতে গেলে 22000 এর বেশী বুথের আয়োজন করতে হবে যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সামগ্রীর বিপুল আয়োজন করতে হবে যা করোনা পরিস্থিতিতে কার্যত অসম্ভব। তাছাড়া ভোটের খরচ পড়বে দ্বিগুণ। রাজ্য পুর দপ্তরের এক আধিকারিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নির্বাচন করানোর জন্য কমিশন ইতিমধ্যেই 185 কোটি টাকা চেয়ে রেখেছে। যা গত পুরভোটের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া আগামী 6 মাসের মধ্যে আসতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। সে ক্ষেত্রে একটি বড় খরচ আছে রাজ্যের। অন্যদিকে আম্ফান এবং করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র যে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনই করা যাবে সে কথাই রাজ্যের তরফ থেকে হলফনামায় পেশ করা হবে।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আগামী বছর কোন বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবেনা। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের মতন পরীক্ষা জুন পর্যন্ত স্থগিত। সব মিলিয়ে কলকাতা পুর নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে করার কথা জানাতে চলেছে রাজ্য। বর্তমানে একাধারে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলগত সমস্যা- সব মিলিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুটা চাপে। তার মধ্যেই নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের পুরসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় রাজ্যের হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কি উত্তর দেয়, সে দিকেই নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!