এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আগামী নির্বাচনে না লড়ার ইচ্ছা হেভিওয়েট নেতার! হারের ভয় নাকি অন্য পরিকল্পনা? শুরু জল্পনা

আগামী নির্বাচনে না লড়ার ইচ্ছা হেভিওয়েট নেতার! হারের ভয় নাকি অন্য পরিকল্পনা? শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নিয়মানুযায়ী ভোটের রাজনীতিতেও সংরক্ষণের সুবিধা আছে। এসসি, এসটির সাথে মহিলাদের জন্যও আসন সংরক্ষিত হয়। সম্প্রতি শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে আগামী নভেম্বরে। সেজন্যেই সেখানে এবার ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, তাপস সরকার যে আসনে সব সময় জয়লাভ করেন, সেটি হল মাটিগাড়া ব্লকে মহকুমা পরিষদের 4 নম্বর আসন।

সেই আসনটি এবার সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। এমন কি তার পাশে 3 নং আসনটিও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। আপাতত লড়াইয়ের জন্য দলের ওপরেই মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। আর সেক্ষেত্রে তাপস সরকারের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর মতামত প্রকাশ পেয়েছে শিলিগুড়ি রাজনীতিতে। তবে তাপস সরকার নিজে এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। কিন্তু তিনি মুখে কিছু না বললেও তাঁর ইচ্ছা ঘিরে এই মুহূর্তে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে চলছে জোরদার আলোচনা। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে সভাধিপতি তাঁর পুরোনো পেশা শিক্ষকতায় ফিরতে চাইছেন বলে খবর।

তবে অনেকেই মনে করছেন, নিরাপদ আসনে দাঁড়াতে না পারার জন্যই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন, নিজের আসনটি তিনি তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে লড়াতে চাইছেন। তাই হয়তো ভোটে না দাঁড়ানোর পরিকল্পনা। প্রসঙ্গত শিলিগুড়িতে বামপন্থী রাজনীতিতে বহু পুরনো পরিচিত মুখ হল সভাধিপতি তাপস সরকার। দীর্ঘ 10 বছর ধরে তিনি ময়নাগুড়ি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর তিনি বাগডোগরা কলেজে শিক্ষকতা করেন। 2019 সালে তিনি প্রথম পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানো এবং প্রথম বারেই জয়লাভ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পরেই তিনি মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। 2015 সালে এই ব্লকেই মহকুমা পরিষদের আসনে দাঁড়িয়েও তিনি জয়লাভ করেন বলে জানা যায়। তবে এদিন তাঁকে সাংবাদিকরা ভোটে না দাঁড়ানোর প্রসঙ্গটি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ভোটের দেরি আছে। তাছাড়া দল যা বলবে তিনি তাই করবেন। অন্যদিকে জানা গেছে, শুধু বামফ্রন্ট সভাধিপতি নয় এবার মহকুমা পরিষদের অনেক হেভিওয়েট সদস্যরাই তাদের চিরপরিচিত আসনটি হারিয়েছেন সংরক্ষণের গেরোয়। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল ঘোষ। তবে তিনি জানিয়েছেন, দল যা বলবে তিনি সেই সিদ্ধান্তই নেবেন।

অন্যদিকে জানা গেছে, আসন সংরক্ষণের তালিকা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে। আপাতত মহকুমা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক কোলাহল অব্যাহত। সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে অনেকেই নিজেদের পছন্দের আসনে লড়তে পারছেন না। সেক্ষেত্রে জয়লাভ নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে কোন লাভ হবে কি না তা নিয়েও কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়। আপাতত এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতারা অন্য আসনে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে সমর্থ হবেন কিনা সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!