প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে একুশের নির্বাচনের টানটান লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত লড়াই জিতেছে শাসক দল তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে প্রায় লজ্জাজনক হারের মুখে দাঁড় করিয়ে বাম এবং কংগ্রেসকে বাংলার রাজনীতি থেকে মুছে দিয়ে তৃণমূল নিজের শক্তিতে বিপুল জনমত নিয়ে ফিরে এসেছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে আবার রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য। যথারীতি রাজ্যের ক্ষমতা হাতে তুলে নিতে চলেছিন নিয়মমতো তৃণমূল সুপ্রিমো।

দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল অর্থাৎ 5 ই মে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন রাজ্যপালের কাছে গতকাল। রাজভবনে তৃণমূল নেত্রী কিছু সময় ছিলেন বলে জানা গেছে। আগামীকাল বেলা 11 টায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কিছু বিশিষ্টজনকে।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বাম শিবিরের বিমান বসু, কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী, মনোজ টিগ্গাসহ বিশিষ্টদের। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, করো না আবহে কোনরকম বিজয় মিছিল করা যাবেনা, কোনো বড়রকম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা যাবেনা। করোনার পরিবেশ কাটলে ব্রিগেডে বিশাল বড় জনসভা করা হবে।

এবং তৃণমূলের তরফ থেকে আয়োজিত সেই জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে দেশজুড়ে বিশিষ্টদের। বিশেষ করে তৃণমূলের মিত্রশক্তিদের যারা এবারের ভোটে তৃণমূল নেত্রীকে সমর্থন জুগিয়েছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এখনো পর্যন্ত কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, তা জানা যায়নি। অন্যদিকে বিরোধী শিবির থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে গিয়েও কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করছেন তৃণমূল নেত্রী? তবে সেক্ষেত্রে বাই ইলেকশনে যে তৃণমূল নেত্রী যে জিতে আসবেন, সে কথা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।