BREAKING NEWS – তৃণমূল ছেড়ে এবার ১৭ বিধায়ক AIMIM-এর পথে? জল্পনা বাড়ালেন দাপুটে যুবনেতা! নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য December 9, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি নিজেদের আসন ২ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করে নিয়েছে। আর তারপরেই কার্যত প্রায় প্রতিটি বিজেপি নেতা পালা করে জানিয়ে যাচ্ছিলেন যে তৃণমূল ছেড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বিধায়ক নেতারা নাকি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। আর সেই কথাকে সত্যি করে বেশ কিছু বিধায়ক বিজেপিতে যোগও দেন। ফলে, তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এরই মাঝে তৃণমূলের লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে দলে নেওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরে! দল বাড়ানোর নামে আসলে দলে বেনোজল ঢোকাচ্ছেন মুকুল রায় বলেও অভিযোগ ওঠে। ফলে, আপাতত তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান কার্যত থামথুম হয়ে গেছে। আর এরই মাঝে দল ও সংগঠন গুছিয়ে নিয়ে রাজ্যের তিন কোনায় হওয়া তিন উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। ফলে, সকলেই যখন ভাবতে শুরু করেছেন লোকসভার ভরাডুবি সামলে, বিধানসভার জন্য ঘর গুছিয়ে ফেলেছে তৃণমূল – ঠিক তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত তৃণমূলের জন্য হাজির হয়েছে মিম। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ সংখ্যালঘু – তা মেনে নিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এবার শাসকদলের ঘুম উড়িয়ে বাংলায় ক্রমশ নিজেদের সংগঠন বিস্তার করতে শুরু করেছে আসাউদ্দিন ওয়েসির দল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বাংলার সীমানা বরাবর বিহারের কিষাণগঞ্জের উপনির্বাচনে বাজিমাত করার পরেই – এবার মিমের লক্ষ্য বাংলার মসনদ। আর মিম এসে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসালে যে তৃণমূলের ঘুম উড়তে পারে, তা বুঝে গিয়েও মিমকে বিজেপির বি টীম বা বিজেপির কাছে হাজার হাজার টাকা নিয়ে বাংলায় ঢোকার চেষ্টা করছে মিম – এই ধরনের আক্রমণত্মক পথে হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এবার মিমের এক দাপুটে যুবনেতা যে দাবি করলেন – তা যদি সত্যি হয়, তাহলে সত্যি সত্যিই ঘুম উড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। মিম যুবনেতা মহম্মদ শফিউল্লা খান ভাঙড়ের এক প্রকাশ্য জনসভা থেকে দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত ১৭ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁরা কে বা কবে মিমে যোগদান করবেন, তা এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কৌশলগত কারণে। তবে, ওই তৃণমূলী বিধায়করা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে একজনই সর্বেসর্বা তা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। বাংলায় যেহেতু ৩০% সংখ্যালঘু ভোটার আছে – তাই সময় এসেছে বাংলার মসনদে মিমের প্রতিনিধিদের বসার। মহম্মদ শফিউল্লা খান আরও দাবি করেন, ২০২১ সালে ভাঙড়ে তো বটেই, গোটা রাজ্যেই প্রার্থী দিতে চলেছেন তাঁরা। দলীয় সুপ্রিমো খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছেন – সেখানেই প্রার্থীর ব্যাপারে সব কিছু ঠিক হবে। তবে, তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন – মিমকে নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তা খুবই হতাশাজনক। আর তাই ২০২১ সালের নির্বাচনে মিম দেখিয়ে দিতে চায়, সংখ্যালঘুদের আসল উন্নয়ন কারা করে। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নির্বাচন কাকে বলে বুঝিয়ে দিতে চান তাঁরা। আপনার মতামত জানান -