এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আইনের শাসন নেই রাজ্যে, প্রমাণ করলো সন্দেশখালি ! রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার শুভেন্দু !

আইনের শাসন নেই রাজ্যে, প্রমাণ করলো সন্দেশখালি ! রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার শুভেন্দু !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের সরকার যে কতটা মানুষকে যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছে, কি পরিমান অত্যাচার মানুষের সঙ্গে করছে এবং সরকার ও তৃণমূল যে এক হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতদিন মানুষ মুখ বুঝে সব সহ্য করেছিলেন। কিন্তু সন্দেশখালিতে একের পর এক জনতার প্রতিবাদ এবং তার ফলে মানুষ যেভাবে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়েছে, তাতে চাপ বাড়ছে প্রশাসনের মধ্যে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মানুষ নিজেরাই প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন।

নিঃসন্দেহে এই প্রতিবাদ মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফসল। কিন্তু কেউ আইন হাতে তুলে নেবে, আর সেখানে চুপচাপ বসে থাকবে এই রাজ্যের সরকার, সেটা মোটেই কাম্য নয়। তাহলে কেন এখন এই রাজ্যের প্রশাসন চুপচাপ মুখে আঙুল দিয়ে বসে রয়েছে! কেন সন্দেশখালিতে মানুষের যে প্রতিবাদ হচ্ছে, তাকে সামাল দিতে পারছেন না এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী! স্বাভাবিকভাবেই আইনের শাসন যে রাজ্যে নেই, শাসকের আইন প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়েই যে তা ধ্বংসের মুখে পড়ে যাচ্ছে, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। আর সেই বিষয় নিয়েই সন্দেশখালি ইস্যুতে এই রাজ্যের ঘুম উড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভ এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনা নিয়েই প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মানুষ যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে এবং তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই যে তাদের এই পদক্ষেপ, তা স্পষ্ট। তবে এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি এই রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। তার বক্তব্য, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আবার প্রমাণ হয়ে গেল, রাজ্যে আইন বলতে কিছু নেই।

অনেকে বলছেন, একদমই তো ঠিক কথা। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো অনেক বড় বড় কথা বলেন। তিনি নাকি এগিয়ে বাংলা স্থাপন করেছেন। তাহলে সন্দেশখালিতে এর আগে কেন তার দলের নেতার ইন্ধনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর হামলা হলো! যদি সেই ঘটনা না ঘটত, তাহলে তো আজকে মানুষের ক্ষোভ তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির ওপর পড়ত না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কেন প্রথম থেকে এই সন্দেশখালি এলাকায় আইনের শাসন স্থাপন করতে পারেননি! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, আইনের শাসন রক্ষা করতে পারছেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে প্রশাসন বলতে আর কিছু নেই। সেটা সন্দেশখালীর ঘটনাতেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের মানুষকে তিনি সুশাসন দিতে পারবেন না। আইন যেভাবে ভঙ্গ হচ্ছে রাজ্যে, তাতে এই সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকা উচিত না। কেন পুলিশ প্রশাসন মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে না! আসলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কেউ সহ্য করতে পারছে না বলেই এমনটা ঘটছে। আগামী দিনে ভোটবাক্সে তৃণমূল এর জবাব পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা যদি রাজনীতি করতে চাইত, তাহলে এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতেই পারত। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তেমন নেতা নন। তাই তিনি যে কেউ আইন হাতে তুলে নিলেই তার নিন্দা করেন। সেক্ষেত্রে সন্দেশখালিতে এখন মহিলারা যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, সেটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়াটাকে একজন সঠিক নাগরিক হিসেবে হয়তো সমর্থন করেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে তিনি এই প্রতিবাদকে সমর্থন করেন। তাই সন্দেশখালিতে যখন অশান্তি লেগে রয়েছে, তখন বারে বারে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে, এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কোথায়? কেন চুপচাপ বসে রয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! কেন তিনি অশান্তিকে বাড়াতে দিচ্ছেন! কেন কঠোর হাতে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে সেই এলাকাকে শান্ত করতে পারছেন না! আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আর কেউ সহ্য করতে পারছেন না। তাই তিনি চেষ্টা করেও পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!