এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আজ আবার চা চক্র থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির, পাল্টা জবাব দিলো তৃণমূল।

আজ আবার চা চক্র থেকে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির, পাল্টা জবাব দিলো তৃণমূল।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা ভালোমতো জমে উঠেছে। কিছুদিন ধরে শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে বাংলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় প্রতিদিন সকালে চা চক্রে যোগ দিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে নানাভাবে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিচ্ছেন রাজনীতি মহলে, বাঁধছে দুদলের বিতর্ক।

আজ সকালে বেলগাছিয়ার টালাপার্কে চা-চক্রের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই চা-চক্রের অনুষ্ঠান থেকে গরুপাচার কাণ্ডের তন্দন্তে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিনয় মিশ্র প্রমুখরা হলেন গাছের ডালপালা। এবার গাছের কান্ডের দিকে হাত যাবে। এবার হাত গিয়ে পৌঁছাবে কালীঘাটের বাড়িতে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ১৪ জন বিদায়ী কাউন্সিলর সহ যোগদান করেছেন বিজেপিতে। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, এবার কি তবে শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী যোগদান করতে চলেছেন বিজেপিতে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন যে, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে আসতে চান? তাহলে আসবেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সকলকেই গ্রহণ করেছে। এখন তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন যে, তাঁরা বিজেপিতে আসবেন কিনা? বা কিভাবে তাঁরা আসবেন? সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত বলে জানালেন তিনি। তিনি আরো জানান যে, তাঁরা দুজন হলেন সাংসদ। সে জন্য আইন কানুন তাঁরা ভালভাবেই বোঝেন। তবে, তাঁরা এ বিষয়ে কারোর সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা? সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। দুজন সাংসদদের সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেই জানালেন তিনি।

গতকাল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মাথায় রুপোর মুকুট পরে বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার করে দেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের কর্মীদের। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, কেউ কেউ ধরে নিয়েছেন যে, আর তাঁদের রাজা, মন্ত্রী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই মুকুট পরে সখ মিটিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে তিনি আরো জানান যে, তাঁকে নিয়ে আলোচনা বেশি না করাই ভালো। সেখানকার মানুষেরাই এর জবাব দেবেন।

অন্যদিকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, ভ্যাকসিন বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ নন। তবে পলিটিকাল ভ্যাকসিন দেন তিনি। যার ফল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানালেন যে, কিছু মানুষ যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া যা হয়েছে, সেটা তারা সামনে আনুন, তারপর ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হোক। যাতে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে পারে।

এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভ্যাকসিন নিয়ে করা মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের লড়াইয়ের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে ছিলেন সিপিএমের ওষুধ। এখন বিজেপির দাওয়াই বা ভ্যাকসিন হলো তৃণমূল। যা দেশের সর্বত্র প্রযোজ্য। এ বিষয়ে তিনি আরো জানান যে, একজন মূখ্যমন্ত্রীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পর্যন্ত রাজ্যে ছুটে আসতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, এর ফলেই নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার জমে উঠল শাসক – বিরোধী তরজা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!