এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজ অভিষেকের হাত ধরেই কি ত্রিপুরায় ভাঙ্গন বিজেপির? জল্পনা চরমে!

আজ অভিষেকের হাত ধরেই কি ত্রিপুরায় ভাঙ্গন বিজেপির? জল্পনা চরমে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-অনেকদিন আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলকে বের করে ত্রিপুরাতে যাতে সংগঠন গঠন করা যায়, তার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসতে না আসতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে দলকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই একাধিক রাজ্যে সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখন তাদের সব থেকে বড় টার্গেট হিসেবে দাঁড়িয়েছ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা। পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য হিসেবে পরিচিত এই ত্রিপুরাতে বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রী পৌঁছে গিয়েছেন। আর আজ সোমবার সেই ত্রিপুরাতে পা রাখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বভাবতই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ত্রিপুরা সফর রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার এই সফরে বিজেপিতে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গুঞ্জন ঊর্ধ্বমুখী।সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে গিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। আর তারপরেই সাড়ে তিনটের সময় আগরতলা একটি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। মূলত আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করা নিয়ে নিজেদের প্রতিবাদ সংগঠিত করতে এবং তার ফলে বিজেপি সরকারকে চাপে রাখতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর। একাংশ বলছেন, ত্রিপুরার মাটি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। সম্প্রতি তৃণমূলের একাধিক নেতা, নেত্রী যখন ত্রিপুরাতে পা রেখেছিলেন, তখন বিজেপির অনেক হেভিওয়েট প্রাক্তন নেতা-নেত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ত্রিপুরাতে পা রাখার সাথে সাথেই বিজেপির অন্দরে ভাঙ্গন তৈরি হতে পারে। একাংশ বলছেন, বিজেপির বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের একাংশ। সেদিক থেকে একসময় তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি দলবদল করতে পারেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। আর তার মাঝেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে সফর করলে বিজেপি ছেড়ে অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা যদি হয়, তাহলে ভিন রাজ্যে প্রথম সফর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বড়সড় সাফল্য পেয়ে যাবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের সাংবাদিক বৈঠকের পর কি করবেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলতে শুরু করেছেন, তারপর বড় কোনো চমক থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়ে অভিষেকবাবু সরাসরি ময়দানে নেমে যেতে পারেন। আবার অনেকের দাবি, বিজেপির ঘর ভাঙতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে অনেকেই যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যদি ত্রিপুরাতে বিজেপির ঘর ভাঙতে সক্ষম হয় তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে আগামী দিনে যে ত্রিপুরা নিয়ে চিন্তা ক্রমশ বাড়বে ভারতীয় জনতা পার্টির, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে এই সফর করে বিজেপিকে সত্যিই চাপে রাখতে পারেন কিনা, তাদের ঘর ভেঙ্গে নিজেদের ঘর শক্তিশালী করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে কিছুটা হলেও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ত্রিপুরা সফর, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!