অজয় নায়েকের মন্তব্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলো কমিশন, তোলপাড় তৃণমূল – অপসারণের দাবি নিয়ে চিঠি জাতীয় রাজ্য April 21, 2019 ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের জন্য বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসাবে অজয় নায়েককে দ্বায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।রাজ্যে বিরোধীরা ক্রমাগত অভিযোগ করেছে যে রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, আইন-শৃঙ্খলা বলেও কিছু নেই। আছে শুধু স্বেচ্ছা চারিতা,যা করছে তৃণমূল সরকার। আর এই নিয়েই বিরোধীদের দাবি ছিল যে লোকসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানে হতে হবে। আর এদিন প্রায় সেই দাবিকেই মান্যতা দিয়ে অজয় নায়েক গত শনিবার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন যে, “দশ বছর আগে নির্বাচনের সময় বিহারে যে পরিস্থিতি ছিল, এখন এরাজ্যে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেসময় বিহারের ভোটেও এত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাতে হত। এখন এরাজ্যেও তাই করতে হচ্ছে। বিহারে এখন খুব কম এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হচ্ছে।” সাথেই তিনি বলেন যে, “ওখানকার সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলি মিলিত ভাবে পরিস্থিতির বদল ঘটিয়েছে।” আর এইসময় সেখানে তাঁর পাশেই ছিলেন সিইও আরিজ আফতাব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর ফলেই বেজায় চটেছে রাজ্যের শাসকদল। তাদের দাবি এই মন্তব্য করে আদতে রাজ্যকেই অপমান করেছেন অজয় নায়েক। যার জেরে তাঁর অপসারণও দাবি করেছে তারা। জানা যাচ্ছে অজিত নায়েকের এই মন্তব্যের পরে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশনও। আর তাই শনিবার কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, তৃতীয় দফার ভোটে ৯২ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এর পরেই আরো চটেছে তৃণমূল সরকার। এদিন দলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সী কমিশণে অজয় নায়েকের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। সেখানে তাঁকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম এই নিয়ে অজয় নায়েককে আরএসএস এর সাথে তুলনা করে বলেছেন যে তিনি নাকি আরএসএসের মতো কাজ করছেন। রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন। সাথেই দাবি করেছেন যে, ”এতে কিছু যায় আসে না। এবারের নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূল বিয়াল্লিশে ৪২টি আসনই পাবে। বিরোধীদের উসকানিতেই উনি এই সমস্ত মন্তব্য করছেন।” বেজায় চটেছেন শিক্ষামন্ত্রীও তিনি দাবি করেছেন যে, ”উনি কীভাবে বাংলার ৯২% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কথা বলছেন? এটা তো বাংলার মানুষের বড় অপমান। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, কেন বিরোধী রাজ্যগুলিতেই বেশি সংখ্যক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে? কই গুজরাতে তো পাঠানো হচ্ছে না! এই ধরনের সিদ্ধান্তেই কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।”ফলে সব মিলিয়ে অজয় নায়েকের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় তৃণমূল। যদিও এর ফলে খুশির হাওয়া বিরোধী শিবিরে। আপনার মতামত জানান -