এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজই শুরু বিধানসভার অধিবেশন, জল্পনা বাড়িয়ে হুইপ জারি তৃণমূলের, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা!

আজই শুরু বিধানসভার অধিবেশন, জল্পনা বাড়িয়ে হুইপ জারি তৃণমূলের, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয় তৃণমূল সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। জানা গেছে, আজ শুক্রবার বেলা দুটোই রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের ভাষণকে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই আজকের এই বাজেট অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের কাছেই। তবে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই রীতিমতো হুইপ জারি করে দলের প্রত্যেক বিধায়ককে নির্দিষ্ট সময় অধিবেশন কক্ষে হাজির থাকার নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এই হুইপ জারিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার 1 টা 55 মিনিটে বিধানসভায় পা রাখবেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যেখানে প্রথা অনুযায়ী বিধানসভার বারান্দা থেকে তাকে অধিবেশন কক্ষে নিয়ে যাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সরকারপক্ষের লিখে দেওয়া ভাষণ পাঠ করবেন রাজ্যপাল। যদিও বা সেই ভাষণ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল সেই ভাষণ পাঠ নিয়ে কি অবস্থান রাখেন, সেটা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। তবে একদিকে শক্তিশালী বিরোধী দল বিজেপি এবং অন্যদিকে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার মাঝেই দলের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বস্তুত, দুই বিধায়ক প্রয়াত হওয়ার কারণে বর্তমানে তৃণমূলের বর্তমান বিধায়ক সংখ্যা 209 জন। বৃহস্পতিবার শাসক দলের পক্ষ থেকে পরিষদীয় মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ একটি হুইপ জারি করেছেন। যেখানে প্রত্যেক বিধায়ককে শুক্রবার বেলা পৌনে দুটোর মধ্যে অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, “আমরা আমাদের সব বিধায়কদের দুপুর পৌনে দুটোর মধ্যে অধিবেশন কক্ষে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, অতীতে তৃণমূল সরকার আমলে বিধানসভায় বেশিরভাগ সময় অনেক বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের অনুপস্থিত থাকতে দেখা যেত। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও এবং প্রশ্ন তৈরি হলেও, শাসকদলের বিধায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি কার্যত চাপে ফেলে দিত ঘাসফুল শিবিরকে। যার ফলে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে ব্যাপক প্রতিবাদ করতে দেখা যেত তৎকালীন বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসকে। এমনকি এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেছে স্বয়ং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

তবে বাম এবং কংগ্রেসের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী এবারের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই বিধানসভার ভেতরে যদি শাসকদলের বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা উপস্থিত না থাকেন, তাহলে বিজেপি তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই প্রথম দিনেই রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার সময় যাতে প্রত্যেকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা যায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের হুইপ জারি করা হলেও বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!